অনলাইন ডেস্ক :
নিজেদের ঘরের মাঠের আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে একটি (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রস্তুতি ম্যাচ খেলল বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। নীল দল ও সবুজ দলে ভাগ হয়ে খেলা প্রস্তুতি ম্যাচটা ছিল ‘দিবা-রাত্রি’র। কিন্তু মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে যখন ম্যাচের আয়ু নিভে গেল, তখনো দিনের আলো ঝলমল করছে। দিবা-রাত্রির প্রস্তুতি ম্যাচটি দিনেই শেষ হওয়ার কারণ-ব্যাটিং ব্যর্থতা। ব্যাটসম্যানরা ব্যাট হাতে কতটা ব্যর্থ এবং অধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন, সেটি ম্যাচের স্কোরেই স্পষ্ট। ৫০ ওভারের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে তামিম ইকবালের নীল দল উইকেটে টিকতে পারে ৪২.৪ ওভার। অলআউট হয় ২০৫ রানে। ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সবুজ দল মাত্র ২১.৩ ওভারে ১০১ রান করে অলআউট! মাত্র ২০৫ রান করেও তামিমের নীল দল পেয়েছে ১০৪ রানের বিশাল জয়। সদ্যই দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হয়ে আসা চন্দ্রিকা হাথুরুসিংহে খুব মনোযোগ দিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচটি দেখেছেন। তার সামনেই ব্যাটিং ব্যর্থতার এই প্রদর্শনী করেছেন তামিম, মুশফিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেনরা। কোচ হাথুরু নিশ্চয় শিষ্যদের ব্যাটিং পারফরমেন্সে প্রচন্ড হতাশই হয়েছেন। উল্লিখিত এই ক্রিকেটারদের সবাই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। অবশ্য মেহেদী হাসান মিরাজ বল হাতে দলকে জেতাতে নিজের কারিশমাটা দেখিয়েছেন। নিয়েছেন ৩ উইকেট। ব্যাটারদের মধ্যে মোটামুটি সফল বলতে নীল দলের ইয়াসির আলি রাব্বি ও লিটন দাস। ইয়াসির আলি খেলেছেন ৫৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস। লিটন দাস করেছেন ৪৬ রান। বড় নামগুলোর মধ্যে তামিম আউট হন মাত্র ২ রান করে। ম্যাচে অনুশীলন ঠিক মতো হয়নি ভেবেই হয়তো তামিম আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পরিবর্তে ইনডোরে গিয়ে একা একাই ৩০ মিনিটের মতো ব্যাটিং অনুশীলন করেন! এছাড়া মুশফিক করেন ৬ রান, জাকির হোসেন ৫, আফিফ হোসেন ১৭, মেহেদী মিরাজ করেন ১৯ রান। ড্রেসিংরুমে ফিরে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের বাহবা পেয়েছেন ইয়াসির আলি। ১১ চারে সাজানো ইনিংসটির মাধ্যমে ইয়াসির হয়তো আরো একটি সুসংবাদ প্রাপ্তির দৌড়েও এগিয়ে গেলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের জন্য ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। দলে আরো একজনকে নেওয়া হবে। সেই ১৫তম সদস্য কে হবেন? প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই ১৫তম সদস্যকে বেছে নেওয়া হবে। সম্ভাবনার দৌড়ে আছেন এই ইয়াসির আলি ও মাহমুদুল হাসান। গতকালের ইনিংসটি খেলে ইয়াসির হয়তো সেই দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন। ব্যাটাররা ব্যর্থতা মানেই বোলাররা সফল। সত্যিকার অর্থেই কাল মিরপুরে বোলারদের প্রস্তুতিটা ভালো হয়েছে। পেসার এবং স্পিনার, দুই ক্যাটাগরিরই বোলাররাই সফল। সবুজ দলের হয়ে স্পিনার তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৩টি উইকেট পেয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ। ২ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। নীল দলের হয়ে পেস বোলিংয়ে আগুন ঝরিয়েছেন পেসার এবাদত হোসেন। তিনি নিজের প্রথম স্পেলেই মুড়ে দেন সবুজ দলের টপ অর্ডার। নিয়েছেন ৪ উইকেট। এ ছাড়া স্পিনার মেহেদী মিরাজ ৩টি ও নাসুম আহমেদ নিয়েছেন ২ উইকেট। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের আসন্ন সিরিজে ৩টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি হবে। ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ১ মার্চ। বাকি ওয়ানডে দুটি হবে ৪ ও ৬ মার্চ। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ৯ মার্চ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাকি ম্যাচ দুটি হবে ১২ ও ১৪ মার্চ। সিরিজের শেষ ওয়ানডে ও প্রথম টি-টোয়েন্টি হবে চট্টগ্রামে। বাকি ৪টি ম্যাচই হবে ঢাকার মিরপুরে। সিরিজটা খেলতে জস বাটলারের নেতৃত্বে আজই ঢাকায় পা রাখার কথা ইংল্যান্ড দলের।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা