April 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, October 18th, 2021, 7:57 pm

কেরালায় ভারি বৃষ্টি-ভূমিধস ও বন্যায় ২৭ মৃত্যু, বহু নিখোঁজ

অনলাইন ডেস্ক :

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় ভারি বৃষ্টির মধ্য সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু লোক নিখোঁজ রয়েছেন। রাজ্যটির কোট্টায়াম ও ইদুক্কি জেলার ভূমিধস-বিধ্বস্ত এলাকাগুলো থেকে আরও মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে; খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের। প্রবল বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বেড়ে দেখা দেওয়া বন্যায় নগর ও গ্রামগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বহু ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। মৃতদের মধ্যে পাঁচটি শিশু রয়েছে। কোট্টায়ামের বিচ্ছিন্ন এলাকা ও গ্রামগুলোতে বহু লোক আটকা পড়েছেন। উদ্ধারকাজে ভারতীয় সামরিক বাহিনী যোগ দিয়েছে। রোববার থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সতর্কতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন, কারণ বিস্তৃত অঞ্চলে ফের ভারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) পূর্বাভাস দিয়েছে। জনগণকে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীগুলো দিনরাত কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ভূমিধসের কারণে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উদ্ধারকর্মীদের সরবরাহের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন। কোট্টায়ামে পাহাড়ি ঢলে একটি বাড়ি ভেসে গিয়ে ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা ও তিনটি শিশুসহ এক পরিবারের ছয় জন মারা গেছেন বলে বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দ্য হিন্দু জানিয়েছে, কোটিকালে ভূমিধমে নিহত আরও কয়েকজনের লাশ পাওয়ার পর কোট্টায়ামে মৃতের সংখ্যা ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ইদুক্কির কোকায়ার এলাকা থেকে ভূমিধমে মৃত আট জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে আর আরেকজনের নিকটবর্তী পেরুভান্থানাম গ্রাম থেকে বলে জানিয়েছেন জেলা কালেক্টর শীবা জর্জ। কেরালায় পানিতে ডুবেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। কোঝিকোডে জেলার এরমালায় ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী, ত্রিশুরের কুন্নামকুলাম এলাকায় ৬২ বছর বয়সী এক পুরুষ ও পাত্তামবিতে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার পানিতে গাড়ি ডুবে গিয়ে ইদুক্কির কানজারে আরও দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কোল্লাম ও অন্যান্য উপকূলীয় শহরের বহু রাস্তা ডুবে গেছে। উপড়ে পড়া গাছের কারণে বিভিন্ন সড়ক বন্ধ হয়ে আছে। এসব এলাকায় আটকা পড়া জীবিতদের উদ্ধারে মাছ ধরার নৌকা ব্যবহার করা হচ্ছে। জীবিতদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত আছে। কাদা, পাথর ও উপড়ে পড়া গাছ সরিয়ে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও এতে যোগ দিয়েছেন। রাজ্যটির বিভিন্ন অংশে অনেকগুলো আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।