অনলাইন ডেস্ক :
ক্লাব কোচিং করতে গিয়ে দেশের অন্যতম সেরা কোচ মারুফুল হক এখন বিতশ্রদ্ধ। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হেড কোচ মারুফ লিগের ২১ তারিখের ম্যাচটা শেষ করে ঘরে ফিরতে চান। নতুন মৌসুমে কোনো ক্লাবে চুক্তিবদ্ধ হবেন কি, না হবেন না সেটা পরের ব্যাপার। মারুফ জানিয়েছেন, পছন্দের ক্লাব না হলে তিনি বিশ্রাম নেবেন। বললেন, ‘আপাতত বিশ্রামে থাকব।’ এক বছর কোচিং না করালে এই সময় তিনি কোচিং নিয়ে আরো উন্নত পড়াশোনা করবেন। টানা ১৫ বছর ক্লাব কোচিং করিয়ে এখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন মারুফুল হক। এদেশের ফুটবল নিয়ে স্বপ্ন দেখা মানুষটা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে ইংল্যান্ড গিয়ে কোচিং লাইসেন্স কোর্স করে এসেছিলেন। সেই মানুষটা এখন ত্যক্ত-বিরক্ত। এখনকার খেলোয়াড়রা নাকি অন্যরকম। তাদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। এটা কি খেলোয়াড়দের সমস্যা, নাকি নিজের সমস্যা।
মারুফুল হক বললেন, ‘আমারই সমস্যা হতে পারে। আমি কেন বুঝাতে পারছি না।’ সমস্যাটা কী-জানতে চাইলে মারুফ বললেন, ‘এখনকার ফুটবলারদের মোটিভেট করা যায় না। নেগেটিভ কিছু থাকলে বলা যায় না। না বললে সেটা অন্তরালেই থেকে যায়। এটা আমার ব্যক্তিগত দর্শন। কোন বিষয়গুলো একজন ফুটবলারের ক্যারিয়ার ক্ষতি করতে পারে। ভুল কোথায় আছে, সেগুলো কাটিয়ে উঠার পন্থা কী হতে পারে, সেগুলো যদি না বলা যায় তাহলে সেই ফুটবলার ভালো খেলবেন কী করে। সুন্দর ক্যারিয়ার গড়বেন কী করে।’ মারুফ হয়তো বলতে বলতে এখন ক্লান্ত। তা না হলে নিজেই সরে আসতে চান কেন। মারুফ বললেন, ‘ওভারঅল সব ফুটবলারই একই রকম। আমার ক্যারিয়ারে আমি জাতীয় দলের চারটা অধিনায়ক পেয়েছিলাম। রজনী, আমিনুল, হাসান আল মামুন, জুয়েল রানা। তাদেরকে মোটিভেট করতে পেরেছি।
মেসি রোনালদোকে মোটিভেট করা যায়, কিন্তু এখনকার জেনারেশনকে মোটিভেট করা যায় না।’ এখনকার ফুটবলারদের মধ্যে কমিটমেন্ট ডেডিকেশনের অভাব দেখতে পান মারুফুল হক। মারুফুল হকের দুই সন্তানের মধ্যে কন্যা রাফায়াত হক সারাহ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং ছেলে মাহতা সাব্বিল হক বুয়েট কলেজে পড়ছেন। ২০০৮ সালে মোহামেডানে কোচিং শুরু করেন। প্রথম সুপার কাপ ট্রফি দিয়েছেন। দুইটা ফেডারেশন কাপ ট্রফি দিয়েছেন। লিগ রানার্সআপ হয়েছেন দুই বার। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, আরামবাগ, চট্টগ্রাম আবাহনীকে কোচিং করিয়েছেন। শেখ রাসেলকে ট্রেবল জয় করিয়েছেন মারুফুল হক। শেখ জামালকে তিনটা ট্রফি দিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধাকে লিগ রানার্সআপ করেছেন। আরামবাগকে ইন্ডিপেডেন্ট কাপে ট্রফি দিয়েছেন। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলে রানার্সআপ হয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। দুই মাস জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেবার তার সময়ে সাত ম্যাচ খেলে জাতীয় দল তিন ম্যাচ জিতেছে। এক ম্যাচ ড্র করেছে। তিন ম্যাচ হেরেছে। জাতীয় দলের আর কোনো কোচের এই রেকর্ড বা সাফল্য নেই।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা