শেরপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবারের(১৭ জুলাই) ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় ৩টি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১২শ’ থেকে ১৩শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বিকালে শহরের রঘুনাথবাজার ও চকবাজার এলাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষ একে অপরকে লাঠিসোঠা ও ইটপাটকেল ছোড়ে। বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত চলা এ সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটে।
এসময় রাস্তায় থাকা প্লাস্টিকের রোড ডিভাইডারে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পুলিশের তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। এসময় ১১জন পুলিশসহ দুইপক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়।
ওসি এমদাদুল জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশ ও এবং র্যাব শহরে যৌথ টহল শুরু করেছে। আন্দোলনকারীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ কোন প্রভাব পড়েনি।
শহরের নিউমার্কেট এলাকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন জানিয়েছেন, বুধবার একটি অনাকাঙিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি