সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে আবারও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১ জুলাই) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
এসময় সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমতা প্রত্যেকের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালকে সংবিধানের লংঘন বলে মন্তব্য করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বিলুপ্তি না হলে ছাত্র সমাজ ছেড়ে কথা বলবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এর আগে গত ১০ জুন কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন করে বাকৃবির প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী।
আন্দোলনে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী মো. ইরান মিয়া বলেন, ‘কোটা পদ্ধতির নামে বৈষম্য সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ কখনোই মানবে না। সংবিধানে চাকরির ক্ষেত্রে সুযোগের সমতার কথা বলা হয়েছে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোটা পদ্ধতির পুনর্বহাল সংবিধানের লংঘন। তাই সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির বিলুপ্তি না হলে ছাত্রসমাজ ছেড়ে কথা বলবে না।’
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. জুহায়ের আমিন হৃদয় বলেন, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমতা সবার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। বর্তমানে আবার পুরনো সেই কোটা প্রথা ফিরিয়ে আনার যে প্রয়াস দেখা যাচ্ছে তাতে এই মৌলিক অধিকার লাভের পথ ব্যাহত হবে। এমন বৈষম্য রুখে দাঁড়িয়েছে সচেতন ছাত্র সমাজ। নিজেদের ন্যায্য অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত ছাত্ররা রাজপথ থেকে ফিরবে না।’
মানববন্ধনে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম তুষার বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও কোটা প্রথা এভাবে চলতে পারে না। বর্তমানে প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা ছাড়া আর কোনো কোটার প্রয়োজন নেই। আগামী ৪ জুলাইয়ের রায় সারা বাংলার ছাত্র সমাজের যৌক্তিক দাবির বিরুদ্ধে গেলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তুলব।’
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম