অনলাইন ডেস্ক :
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে কোনো খোঁজ নেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপির। সেই হিসেবে ৮ মাস ধরে উধাও তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সক্রিয় ছিলেন এ নায়িকা। তবে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে আর ফেসবুকও ব্যবহার করছেন না। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটিও ২৪ ঘণ্টা বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কাছের মানুষ তো দূরের কথা, পরিবারের কেউই পপির খোঁজ জানেন না বলেও জানা গেছে। এদিকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কাছেও পপির কোনো খোঁজ নেই। সবমিলিয়ে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।মধ্যে গুঞ্জন উঠেছিলো পপি এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছেন, তাই তিনি যোগাযোগ রাখতে চাচ্ছেন না কারও সঙ্গে। এমনকি ইস্কাটনের বাসাও বদল করেছেন তিনি। পরবর্তীতে মাস কয়েক আগে পপির মা হওয়ার গুঞ্জনও ওঠে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখছেন বলেও কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। কিন্তু এত আলোচনা ও গুঞ্জনের পরও পপি সামনে আসেননি। সম্প্রতি এ নায়িকার মা মরিয়ম বেগম জানিয়েছেন তার সঙ্গে পপির কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। পপিই যোগাযোগটা বন্ধ রেখেছেন। তিনি আরও বলেন, পপি আমার সঙ্গে থাকে না। সে কোথায় থাকে আমিও জানি না। পপি বলে বেড়ায়, আমাকে সে ভরণপোষণ দেয়। কিন্তু এসব মিথ্যা। তার বাসায়ও আমি থাকি না। মরিয়ম বেগম আরও বলেন, ২০০৭ সালের পর থেকে পপি আমার সঙ্গে থাকে না। আমি কোথায় আছি, সেটাও জানে না। যদিও পপির মায়ের এমন বক্তব্যে কিছুটা গরমিল রয়েছে। কারণ ২০১৯ সালে পপির সুবাদে ‘গরবিনী মা সম্মাননা’ লাভ করেন মরিয়ম বেগম। সে সময় মা-মেয়েকে একসঙ্গে অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল। এদিকে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে নায়িকা একা ও পরীমনির সদস্য পদ স্থগিত করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সেখানে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পপির নিখোঁজ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেখান থেকেও জানানো হয় তার খোঁজ শিল্পী সমিতি জানে না। উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন পপি। অবশ্য তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা ‘কুলি’। সিনেমাটি ছিল দারুণ ব্যবসা সফল। এরপর অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন পপি। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনি অর্জন করেছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ