অনলাইন ডেস্ক :
গ্রুপ পর্বে অবিশ্বাস্য ৩০ শটের টাইব্রেকারে ম্যাচ হেরেছে ঐতিহ্যবাহী আবাহনী লিমিটেড। ফেডারেশন কাপে শেখ রাসেলের কাছে এমন হার প্রত্যাশা করেনি আকাশি-নীলরা। পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমসের কপালে তাই চিন্তার ভাঁজ থাকাটা স্বাভাবিক। তবে কাল মঙ্গলবার সাড়ে ৭টায় কোয়ার্টার ফাইনালে কোনও ভুল করতে তিনি রাজি নন। বরং শেখ জামালের বিপক্ষে ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার লক্ষ্য তার। স্বাধীনতা কাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে রীতিমত উড়ছিল আবাহনী। ওই একটি ম্যাচের হার সবকিছু ম্লান করে দিয়েছে। অবশ্য হারের কারণও ছিল সেদিন। একাদশে আনা হয় বেশ কিছু পরিবর্তন। ইমন মাহমুদ-রাকিব-হৃদয়রা সাইড বেঞ্চে ছিলেন। যার প্রভাব পড়ে ম্যাচে। তবে কলিনদ্রেস-দোরিয়েন্তনদের পারফরম্যান্স ছিল বরাবরের মতোই চিত্তাকর্ষক। ব্রাজিলিয়ান দোরিয়েন্তন একাই জোড়া লক্ষ্যভেদ করে নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। তবে আবাহনীর জন্য আশার কথা, শেখ জামালের বিপক্ষে পূর্ণশক্তির দলই পাচ্ছে তারা। তাতে উজ্জীবনী শক্তিটাও থাকবে খুব। দলের কোচ মারিও লেমসবলেছেন, ‘আগের ম্যাচে প্রতিপক্ষকে একটু হালকাভাবে নিয়েছিলাম। এ কারণে এগিয়ে গিয়েও টাইব্রেকারে ম্যাচ হারতে হয়েছে। নকআউট পর্বে আশা করছি তা হবে না। আমরা পূর্ণশক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে পারবো।’ পূর্ণশক্তির দল বলা হলেও ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা ও মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয়ের চোট রয়েছে। তাদের খেলার সম্ভাবনা ৫০-৫০। শেখ জামালে উজবেকিস্তানের ওতাবেক মাঠজুড়ে খেলছেন। গাম্বিয়ান সোলায়মান সিল্লাহও নজর কাড়ছেন খুব। আক্রমণভাগে শক্তি হিসেবে রয়েছেন নুরুল আবসারও। আবাহনীর জন্য ম্যাচটা তাই সহজ হবে না। স্প্যানিশ কোচ হুয়ান মার্টিনেজ সেভাবেই দলকে তৈরি করছেন। তাই ম্যাচটি রোমাঞ্চের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তার আগে বিকালে দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে শেখ রাসেল-রহমতগঞ্জ। সাইফুল বারী টিটুর দলের বিপক্ষে সৈয়দ গোলাম জিলানির দলের লড়াই। সেই ম্যাচটিও উপভোগ্য হতে পারে।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা