অনলাইন ডেস্ক :
প্রতিবাদ বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিক কো সোয়ে নাইং মিয়ানমারে সামরিক জান্তার হেফাজতে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা ও পারিবারিক এক বন্ধু। সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী গত শুক্রবারের ‘নীরব প্রতিবাদ’-এর খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন তিনি। এ সময় ইয়াঙ্গুন থেকে তাকে ও এক সহকর্মীকে আটক করে সামরিক জান্তা। তাদের হেফাজতেই মারা গেছেন সাংবাদিক কো সোয়ে নাইং। ১লা ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের পর তিনিই প্রথম নিরাপত্তা হেফাজতে মারা গেলেন। ওই অভ্যুত্থানের পর এ পর্যন্ত সামরিক জান্তা আটক করেছে কমপক্ষে ১০০ সাংবাদিককে। তবে অর্ধেককে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। সাংবাদিক কো সোয়ে নাইং একজন গ্রাফিক ডিজাইনার। পাশাপাশি তিনি একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছিলেন। গত শুক্রবার ইয়াঙ্গুনে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ হয়। কয়েক মাসের মধ্যে এটা ছিল সবচেয়ে কড়া প্রতিবাদ। এদিন মানুষ রাস্তায় নামেনি। তাদেরকে বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছিল। ৬ ঘন্টা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। তাতে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যায়। ফলে রাস্তাঘাট ছিল একেবারে ফাঁকা। সরকারি হেফাজতে কো সোয়ে নাইংই প্রথম মারা গেছেন এমন নয়। তবে এভাবে কতজন মারা গেছেন তা স্পষ্ট নয়। অন্য যারা নিরাপত্তা হেফাজতে মারা গেছেন, তার মধ্যে আছেন রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ক্ষমতা হারানো নেত্রী অং সান সুচির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির সদস্য। কিছুকিছু ক্ষেত্রে মৃতদেহ দেখা গেছে। তাতে মারাত্মক নির্যাতনের চিহ্ন আছে বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার বিষয়ক নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে সামরিক জান্তার গ্রেপ্তার টার্গেটে রয়েছেন সাংবাদিকরা। মুক্ত তথ্যপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে এটা করা হচ্ছে। এজন্য তারা আটক করছে মিডিয়াকর্মীদের। জোর করে বন্ধ করে দিচ্ছে অনেক মিডিয়া আউটলেট।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু