অনলাইন ডেস্ক :
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে আলো ছড়ালেন টনি ক্রুস। অভিজ্ঞ জার্মান মিডফিল্ডার অবদান রাখলেন সতীর্থের গোলে, পরে নিজে করলেন চমৎকার একটি গোল। কাদিস শেষ দিকে ব্যবধান কমিয়ে নাটকীয়তার আভাস দিলেও রিয়াল মাদ্রিদকে আটকাতে পারেনি। সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বৃহস্পতিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। এদের মিলিতাও স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান ক্রুস। পেশাদার ক্যারিয়ারে প্রথমবার লাল কার্ড দেখার পর গত রাউন্ডে তিনি নিষিদ্ধ ছিলেন। সফরকারীদের একমাত্র গোলটি করেন লুকাস পেরেস। লিগে দুই ম্যাচ পর জয়ের স্বাদ পেল কার্লো আনচেলত্তির দল। জিরোনার সঙ্গে ১-১ ড্রয়ের পর গত রাউন্ডে রায়ো ভাইয়েকানোর মাঠে ৩-২ গোলে হেরেছিল তারা। বিশ্বকাপ বিরতির আগে এটি ছিল লা লিগার শেষ ম্যাচ। এই জয়ে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমাল রিয়াল। ১৪ ম্যাচে কাতালান দলটির ৩৭ পয়েন্ট, মাদ্রিদের দলটির ৩৫। শুরুর কয়েক মিনিটে দুই দলই গোলের চেষ্টা করে বক্সের বাইরে থেকে। অহেলিয়া চুয়ামেনি ও লুকা মদ্রিচের শট উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে কাদিসের আলফোনসো এস্পিনোর শট ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আগের চার ম্যাচের কেবল একটিতে জেতা রিয়াল ২৮তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পায়। উরুগুয়ের মিডফিল্ডার ফেদেরিকো ভালভেরদের শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে এগিয়ে যায় রিয়াল। শুরুতে তাদের কর্নার ক্লিয়ার করে কাদিস। তবে বক্সের বাইরে বল চলে যায় সরাসরি মদ্রিচের কাছে। তিনি পাস দেন টনি ক্রুসকে। বাঁ দিক থেকে এই জার্মানের ক্রসে ছয় গজ বক্সের মুখে হেডে জালে পাঠান অরক্ষিত মিলিতাও। দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে দলকে ম্যাচে ফেরানোর সুযোগ পান রুবেন সবরিনো। সতীর্থের ক্রস বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুরূহ কোণ থেকে তার প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে রুখে দেন গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ আসে রিয়ালের সামনে। ডি-বক্সে লুকাস ভাসকেসের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে ভালভেরদের শট প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ৭০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্রুস। ভিনিসিউস জুনিয়রের শটে প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে বলে আসে বক্সের বাইরে, আর বুলেট গতির ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন ৩২ বছর বয়সী ফুটবলার। ৮০তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করার সুবর্ণ সুযোগ হারান মদ্রিচ। ভিনিসিউস ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ দিক থেকে পাস দেন অন্য পাশে। কাছ থেকে অবিশ্বাস্যভাবে বাইরে মারেন ৩৭ বছর বয়সী ক্রোয়াট মিডফিল্ডার। পরের মিনিটেই ব্যবধান কমায় কাদিস। দুরূহ কোণ থেকে থিও বনগোন্দার শট কোর্তোয়া ঠেকালেও বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। আলগা বল পেয়ে জালে পাঠান পেরেস। পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার দারুণ একটি সুযোগও যোগ করা সময়ে এসে যায় কাদিসের সামনে। সতীর্থের ক্রস বক্সে ফাঁকায় পান এস্পিনো, কোর্তোয়াও পোস্টে ছেড়ে এগিয়ে আসেন অনেকটা; কিন্তু উরুগুয়ের ডিফেন্ডারের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে বেঁচে যায় রিয়াল।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা