অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে ভারতের স্থান ছিল ১০৭ নম্বরে। এ বছর তা আরো চার বেড়েছে। ১২৫টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান এখন ১১১ নম্বরে। শিশুদের অপুষ্টির হারের দিক থেকেও ভারতের অবস্থা ভয়াবহ। দেশে শিশুদের অপুষ্টির হার ১৮.৭ শতাংশ। গোটা বিশ্বে যা সর্বোচ্চ। তবে ভারতের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয় বলছে, যে পদ্ধতিতে এই সমীক্ষা হয়েছে তা ত্রুটিযুক্ত।
ভারতের পরিস্থিতি এত খারাপ নয়। সমীক্ষাটি অভিসন্ধিমূলক বলেও দাবি করা হয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর পরিস্থিতি ভারতের চেয়ে ভালো। পাকিস্তান আছে ১০২ নম্বরে। বাংলাদেশ ৮১ নম্বরে। নেপাল ও শ্রীলঙ্কা যথাক্রমে ৬৯ ও ৬০ নম্বরে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারতে ১৬.৬ শতাংশ মানুষের যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর খাবার জোটে না। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ৫৮.১ শতাংশ রক্তশূন্যতায় ভোগেন। পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর হার ৩.১ শতাংশ।
দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, মাত্র তিন হাজার নমুনার ওপর এই সমীক্ষা করা হয়েছে। ফলে সমীক্ষাটি ত্রুটিপূর্ণ। গোটা দেশের পরিস্থিতি এখানে উঠে আসেনি। বস্তুত কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এ দেশে শিশু অপুষ্টির হার ৭.২ শতাংশের নিচে। বহুদিন ধরেই এই পরিসংখ্যান আছে। ফলে নতুন প্রতিবেদনের বক্তব্য মেনে নেওয়া যায় না। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বক্তব্যের সঙ্গে অবশ্য সহমত নয় কংগ্রেস ও বিরোধী দলগুলো। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, সরকারের অপারগতা স্পষ্ট হয়েছে প্রতিবেদনে। কেন্দ্রীয় সরকার এখন সত্য ধামা চাপা দিতে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু