ক্রেনের প্রধান অবকাঠামোগুলোতে নতুন করে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সোমবার ইউক্রেন ব্যাপক ব্ল্যাকআউটে পতিত হয়েছে এবং কিয়েভের বিশাল অংশে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ ভ্যালেরি জালুঝনি টেলিগ্রামে বলেছেন যে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরে তার নৌবহরে ড্রোন হামলার জন্য ইউক্রেনকে দোষারোপ করার কয়েক দিন পরে রাশিয়া সারা দেশে ‘বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে’ ৫৫টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং কয়েক ডজন অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ গতকাল মঙ্গলবার ভোরে বোমা হামলাকে রাশিয়ান ফেডারেশনের সেনাবাহিনীর দ্বারা আমাদের ভূখন্ডে সবচেয়ে বড় হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু তিনি একই প্লাটফর্মে উল্লেখ করেছেন যে, উন্নত বিমান প্রতিরক্ষার জন্য ধন্যবাদ, ‘ধ্বংস ততটা গুরুতর নয়, যতটা হতে পারতো’। যদিও সেনাবাহিনী বলেছে অনেক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিগাল বলেছেন যে, হামলার ফলে এখনও ইউক্রেনের সাতটি অঞ্চলের ‘শতশত’ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো, সোমবার পরে বলেছিলেন যে ৪০ শতাংশ ভোক্তা পানি পাচ্ছে না, ২ লাখ ৭০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। কিয়েভের পশ্চিমে, এএফপি এক সাংবাদিক খালি প্লাস্টিকের বোতল এবং পাত্রে ১০০ জনেরও বেশি লোককে পার্কের ফোয়ারা থেকে পানি সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করতে দেখেছেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা টুইটারে বলেছেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ করার পরিবর্তে, রাশিয়া বেসামরিকদের সাথে লড়াই করে।’ কুলেবা একটি পৃথক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউক্রেনের বিধ্বস্ত জ¦ালানি অবকাঠামো ১২টি দেশের সরঞ্জাম দিয়ে মেরামত করা হবে। রাশিয়ান সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে তারা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এবং বলেছে যে সবগুলো তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছেছে। মলদোভা সরকার বলেছে, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে গুলি করা একটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র দেশের উত্তরে নাস্লাভিয়া গ্রামে পড়েছিল, তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
—–বাসস
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২