জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর (শ্রীবরদী) :
রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশের সাথে শ্রীবরদী-বকশীগঞ্জ সহ রৌমারী- রাজীবপুর উপজেলার লোকজনের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান সড়কটি খানা-খন্দে ভরপুর। সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্যা ছোট বড় গর্ত। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বাস, ট্রাক, পিকাপ, সিএনজি, অটোরিকশা সহ অসংখ্যা যানবাহন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। জনদূর্ভোগ লাঘবে ঈদের আগেই মেরামতের দাবী তুলেছেন চালক, পথচারী সহ সচেতনমহল।
সরেজমিনে দেখা যায়, শেরপুর-শ্রীবরদী-বকশীগঞ্জ সড়কের শ্রীবরদী পৌর বাসস্ট্যান্ড থেকে বটতলা পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক খানা-খন্দে ভরপুর। পৌর বাসস্ট্যান্ড, চৌরাস্তা, পানহাটি মোড়, পশ্চিম বাজার, সরকারি কলেজের সামনে সহ অংসখ্যা জায়গায় সড়কের পুরো অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। শ্রীবরদী-বকশীগঞ্জ-রৌমারী-রাজীবপুর উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। শুকনো মৌসুমে কোনরকম চলাচল করা গেলেও বর্ষার শুরুতেই চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে চালক ও পথাচারীদের। গত এক সপ্তাতে প্রায় ৫-৬টি যানবাহন উল্টে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে যানবাহনের চাপ আরো বেড়ে যাবে। তাই বড় দূর্ঘটনা এড়াতে ঈদের আগেই সড়কটি সংস্কারের দাবী তুলেছে ভূক্তভোগীরা।
সিএনজি চালক আক্কাস, জহুরুল, আসাদ, খোকন জানান, দীর্ঘ দিন থেকে সড়কটির বেহাল দশা। বিকল্প সড়ক না থাকায় ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে আমাদের সিএনজি চালাচল করতে হয়ে। কতর্ৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিলে আমাদের দূর্ভোগ কমবে। বাস ড্রাইভার রেজাউল বলেন, রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার। এতে করে চালক, যাত্রীদের দূর্ভোগ অনেকটাই কমে যাবে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রাস্তাটির দরপত্র হয়েছে। কাজও শুরু হয়েছে। দূর্ভোগ লাঘবে খানা-খন্দগুলো ঈদের আগেই মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি