অনলাইন ডেস্ক :
খাবারের জন্য কাঁদছে মানুষ। নিজের মোবাইলের বদলে নিচ্ছেন চাল। এমনই চিত্র এখন চীনের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় জিয়ান শহরে। বিবিসি জানায়, করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শহরটিতে ১৩ দিন ধরে অবরুদ্ধ এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ। এতে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। এদিকে মাত্র তিনজনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় দেশটির এক কোটি ২০ লাখ জনংসখ্যার শহর ইউজুতে জারি করা হয়েছে লকডাউন। চীনের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। দেশটিতে বর্তমানে করোনার কেন্দ্র উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় জিয়ান শহর। সংক্রমণ রোধে এরইমধ্যে শহরজুড়ে জারি করা হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। ১৩ দিন ধরে গৃহবন্দি এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ। এছাড়াও কয়েকশ’ মানুষকে আলাদা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এতে সমালোচনার মুখে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। জিয়ান শহরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, খাবার কিনতে বাইরে যেতে পারছে না মানুষ। বাসায় বাসায় খাদ্য সরবরাহ করছে শহর কর্তৃপক্ষ। তবে প্রয়োজনের তুলনায় কম খাবার সরবরাহে অভিযোগ উঠেছে। অনেকে সহায়তাও পাচ্ছে না। অন্য এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, চরম খাদ্য সংকটের কারণে শহরটির বাসিন্দাদের মধ্যে চালু হয়েছে বিনিময় নিয়ম। চালের জন্য অনেকে দাবি করছে মোবাইল। এমনকি সবজির বিনিময়ে সিগারেট দেয়ারও ঘটনা ঘটছে। শহরটিতে যারা ঘুরতে এসেছে তারা পড়েছে সবচেয়ে বিপাকে। শুধু নুডলস খেয়েই দিনপার করতে হচ্ছে তাদের।এদিকে জিয়ানের পর এবার ইউজু শহরে জারি করা হয়েছে লকডাউন। গত মঙ্গলবার থেকেই শহরটির এক কোটি ২০ লাখ মানুষকে বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। গত সোমবার তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের পরই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চীনে এদিন মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৭৫ জন। তবে, মারা যায়নি কেউ।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু