বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার তার বোন সেলিমা ইসলাম জানিয়েছেন তিনি এখনও জ্বরে ভুগছেন।
‘তিনি (খালেদা) এখনও বিরতিহীন জ্বরে ভুগছেন এবং গত কয়েকদিন ধরে খুব কম খাচ্ছেন’ বলে সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সেলিমা জানান, তিনি হাসপাতালে খালেদার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি কারণ তাকে বার্ধক্যজনিত কারণে সেখানে যেতে দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী বৃহস্পতিবার বিএনপি প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।‘আমরা আমার ভাইয়ের স্ত্রীর কাছ থেকে তার স্বাস্থ্যের কথা জানতে পেরেছি।’
বিএনপি প্রধানকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে তারা সরকারের কাছে নতুন কোনো আবেদন জমা দেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালেদার সঙ্গে পরামর্শের পর তারা এ বিষয়ে চিন্তা করবেন।
সেলিমা বলেন,‘আমরা এর আগে দুবার সরকারের অনুমতি চেয়েছিলাম। এমনকি আমার ভাই (শামীম ইস্কান্দার) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন, কিন্তু তারা অনুমতি দেননি।’
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে বলেছেন, দেশে খালেদার চিকিৎসা সম্ভব নয়।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা ও কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়াকে আল্ট্রাসনোগ্রাম সহ কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত মেডিকেল টিমের একজন সদস্য।
চিকিৎসক বলেন, আমরা পরীক্ষার কিছু রিপোর্ট পেয়েছি,সেই অনুযায়ী তাকে কিছু ওষুধ দিয়েছি। জ্বরের পাশাপাশি তার আরও অনেক জটিলতা রয়েছে।
চিকিৎসক আরও বলেন, ড. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে তার চিকিৎসার জন্য আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ড, বিএনপি প্রধানকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করে আসছে। কিন্তু তার সম্পূর্ণ চিকিৎসা এখানে সম্ভব নয়। তাকে বিদেশের যেকোনো উন্নত কেন্দ্রে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা সংক্রমণ নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলেন।
–ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ