ষ্টাফ রির্পোটার :
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে দুই ‘ডাকাত’ নিহত হয়েছে। সোমবার (১৭ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে খিলক্ষেত এলাকায় কাওলায় ডিবি পুলিশের অভিযানকালে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ২টার দিকে ডিবি পুলিশের দুটি দল পূর্বাচলগামী ফ্লাইওভার ও কাওলা এলাকার সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছিল। এ সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া সবুজ রঙের একটি সিএনজিতে কয়েকজন যাচ্ছিল। তল্লাশির জন্য সেটিকে থামার ইশারা করলে তারা সিগন্যাল অমান্য করে এবং দ্রুত গতিতে কাওলার দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। বিষয়টি ডিবির প্রথম দলটি ওয়াকিটকিতে দ্বিতীয় দলকে সতর্ক করলে তারা রাস্তা বন্ধ করে দেয় ও সিএনজিকে ধাওয়া করতে থাকে। প্রথম দলটিও সিএনজির পিছু পিছু ধাওয়া করছিল। এক পর্যায়ে সিএনজি ও তার যাত্রীরা ডিবির দুই দলের মধ্যে পড়ে যায়। এ সময় হঠাৎই সিএনজি থেকে বের হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে তারা। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া সেখান থেকে নয়ন ও ইয়ামিন নামে দুইজনকে আটক করা হয়।
ডিবির গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা, একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগাজিন, কাঠের বাটযুক্ত একটি পুরানো ধারালো ছুরি, দুইটি টাইগার বাম, একটি সবুজ রঙের গামছা, নয়টি স্মার্ট এবং বাটন মোবাইল, ১৬ পিচ ইয়াবা, একটি লাইটার এবং নগদ ৫০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
মশিউর রহমান বলেন, আটককৃত নয়ন এবং ইয়ামিন গামছা ও মলম দিয়ে মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নিত। ভিকটিম জোরাজুরি করলে তাকে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ফেলে দিত। পুলিশ বা বিরোধী সন্ত্রাসী গ্রুপের আক্রমণের ভয়ে তারা সিএনজিতেই আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতো। আটক ও নিহতরা সবাই ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যা এবং মাদকের একাধিক মামলার আসামি। তারা নিজেরাও মাদকাসক্ত। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র