গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার খুলনাঞ্চলে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে পাটের চাহিদা থাকায় এবং দাম ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি মৌসুমে ডুমুরিয়া উপজেলায় ৭৫৫ হেক্টর জমিতে তোশা ও দেশি জাতের পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার মাগুরাঘোনা ও আটলিয়া ইউনিয়নে বেশি পাট আবাদ হয়েছে। এপ্রিল থেকে মে মাসের মাঝামাঝি বীজ বপন সময় প্রচণ্ড খরার কারণে কিছু বীজ নষ্ট হলেও শেষ দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের ফলন খুব ভালো হয়। উপজেলাতে ভারতীয় বঙ্কিম জাতের বীজ বেশি চাষ হয়েছে। বর্তমানে পাট কাটা, পাট জাগ দেয়া, আশ সংগ্রহ, পাটখড়ি শুকানোসহ বিভিন্ন পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, গত বছর ডুমুরিয়া উপজেলায় ৮৯৯ মেট্রিক টন পাট উৎপাদন হয়েছিল। ফলন হয়েছিল হেক্টরে ২ মেট্রিক টন। চলতি বছর হেক্টর প্রতি দুই দশমিক দুই মেট্রিক টন ফলন হয়েছে। প্রায় তিন হাজার পাট চাষি পাটের আবাদ করেছেন। গত বছর প্রতি মণ পাটের দাম ছিল এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু এ বছর শুরু থেকেই বাজারে পাট বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকায়। প্রতি বিঘায় কৃষক পাট বিক্রি করে লাভ পাচ্ছেন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে পাটখড়ির দাম যোগ করে বিঘা প্রতি লাভ হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার টাকা।
খর্ণিয়ার আঙ্গারদহ এলাকার কৃষক দেলোয়ার হোসেন জানান, অনাবৃষ্টির কারণে খাল ও বিলে পানি না থাকায় সময়মত পাট জাগ দিতে না পারলেও ভালো ফলন ও বাজারে ভালো দামে পাট বিক্রি হচ্ছে। এতে তার মতো সকল চাষিরা অনেক খুশি।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, ডুমুরিয়ায় এবার পাটের ফলন অন্য বছরের তুলনায় খুব ভালো হয়েছে। কৃষকের অর্থকরী ফসল বাংলাদেশের এ সোনালি আঁশ হারিয়ে যেতে বসেছিল। বাজারে পাটের চাহিদা এবং দাম বৃদ্ধির কারণে আবার পাট চাষে গুরুত্ব দিচ্ছে কৃষকরা।
তিনি বলেন, পাট চাষকৃত জমিতে ন্যাচারাল নাইট্রোজেন যুক্ত হয়, যা মাটির উর্বরতা ও শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি পাটকে কৃষকের মাঝে জনপ্রিয় করা গেলে এ খাত আরও সমৃদ্ধ হবে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি