September 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, June 12th, 2023, 6:53 pm

খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, গণনা শুরু

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ও বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ভোটারদের দেওয়া ভোট গণনা শুরু হয়েছে। সোমবার বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর গণনা শুরু হয়।

এদিন সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট দিতে ভোটারদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বিরতি ছাড়াই বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।

তবে উভয় নির্বাচনে কিছু ছোটখাটো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে, যার ফলে কিছু লোক আহত হয়েছে।

বরিশালে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন।

এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম রূপন।

খুলনায়, জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু অভিযোগ করেছেন যে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে তার এজেন্টদের প্রবেশে বাধা দিয়েছে।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঢাকা থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

ভোটাররা যাতে তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন, ২৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর আগে ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুজন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

কেসিসি নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১১ প্লাটুন পুলিশ এবং আনসার ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ৮ হাজার ৮০ জন সদস্য নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।

খুলনা মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন ভোটার এবং ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।

অপরদিকে বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে চার হাজার সদস্যসহ বরিশালে বিজিবির ১০ প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে।

—ইউএনবি