April 26, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, February 10th, 2022, 9:00 pm

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনিয়ম প্রমাণিত

অনলাইন ডেস্ক :

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতিসহ নানা ধরনের অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিজের ছেলে, মেয়ে, শ্যালক-শ্যালিকার ছেলে ও ভাতিজাকে নিয়োগ দিয়েছেন। স্ত্রীকেও অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে প্রক্রিয়া শেষ করার আগেই তা আটকে যায়। সবমিলিয়ে উপাচার্য নিজের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের মধ্যে নয়জনকে নিয়োগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। ইউজিসির তদন্তে স্বজনপ্রীতি ছাড়া শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের প্রমাণও উঠে এসেছে। জানা গেছে, উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের পাঁচজন সদস্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। এরপর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিটির অপর সদস্য হলেনÑ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফরোজা পারভীন ও ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক গোলাম দস্তগীর (সদস্যসচিব)। গঠনের এক বছরের বেশি সময় পর তদন্ত কমিটি ২৩ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়। ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে উপাচার্যের কন্যার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগটি ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া, স্ত্রীকে সরাসরি অধ্যাপক বানানোর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা এবং সব নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও অঞ্চলপ্রীতি না করাসহ সাত দফা সুপারিশ করা হয়। প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের প্রতিটি বাছাই বোর্ডে পর্যবেক্ষক হিসেবে ইউজিসির একজন প্রতিনিধি মনোনয়নের সুপারিশ করা হয়। এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক বলেন, আমরা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।