জেলা প্রতিনিধি রংপুর (গঙ্গাচড়া):
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ঘর ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মর্নেয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে।
মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা’ প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করতে গঙ্গাচড়ার মর্নেয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গাগড়া এলাকায় গৃহ নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের এর নির্মাণ কাজ।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলা মর্নেয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও ইউপি সদস্য মজমুল হক (ভেগল) তাদের লোকজন দিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের নিলটন ভেঙে দিয়েছে।
আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা নাচির হোসেন বলেন, আমি সাড়ে ১১ টার দূর থেকে দেখি , আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে ডুকলো এবং কি যেন একটা জিনিস দিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের নিলটন গুলো ভাঙতেছে। তখন আমি সামনে গিয়ে দেখি জিল্লুর চেয়ারম্যান ও ভেগল মেম্বারসহ তাদের লোকজন আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের নিলটন গুলো ভাঙতেছে। তখন আমি তাদের বলি ‘আপনারা রাতের আঁধারে এসব কাজ করছেন। তখন আমাকে তারা বলে, তুই চুপ থাক বেশি কথা বলিশ না । তুই বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোকও দেখে নিবো। তখন আমি ওখান থেকে চলে যাই’।
আশ্রয়ন প্রকল্পের সাথে বাড়ি হাসিম উদ্দিনের তিনি ও বলেন, অনেক রাতে আমি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর গুলোতে ঘুড়ে বেড়াতে দেখেছি। তারা কি জেনো করতেছে।
এবিষয়ে ঘর বরাদ্দ পাওয়া রঞ্জনা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন ,হামাক আশ্রয়নের ঘর বরাদ্দ দিছে। হামরা বাড়িত উঠার বন্দোবস্ত করতেছি, তার আগোতে কায় বা আইতোত ঘরের জানালা ভাঙি ফেলাইছে। কাজ করা মিস্ত্রিরা খবর দিলে জানালার ভাঙা পাল্লাগুলো বাড়িত নিয়া থুইছুং।
ইউপি সদস্যের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তিনি বলেন আশ্রয়নের ঘর নির্মাণে কোন নিম্নমানের সামগ্রী, রড সঠিকভাবে দেওয়া হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু রাত ১১ টা ১২ টার দিকে অন্ধকারে নিজ হাতে ভেঙে পরীক্ষা করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য সরকারি নিয়মবহির্ভূতভাবে তাদের তালিকামত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে।
কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিয়ম মোতাবেক কারীরদের আবেদন চাযাই বাছাই করে প্রকৃত ব্যাক্তিদের ঘর দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন। এতে হয়তো তারা ক্ষীপ্ত হয়ে এধরণের কান্ড করেছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি ও সতত্যাও মিলেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষে অবগত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি