November 14, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, June 19th, 2023, 8:53 pm

গঙ্গাচড়ায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত, তিস্তাবেষ্টিত নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

জেলা প্রতিনিধি, রংপুর (গঙ্গাচড়া):

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আর কয়েকদিন ধরে অব্যাহত বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। তিস্তার পানি বৃদ্ধির সাথে তিস্তা বেষ্টিত নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে। তবে সে পানিতে নিম্নাঞ্চলে বসবাসরতরা ততটা বেকায়দায় না পড়লেও গতকাল সোমবার সকালে তিস্তার পানি আরো বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সে.মি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ফলে কর্তৃপক্ষ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি সুইচগেট খুলে দিয়েছে। এদিকে নিম্নাঞ্চলসহ চরের বাড়ি-ঘরে পানি উঠে। এছাড়া পানিতে তলিয়ে যায় বাদাম,পাট, ধান, মরিচসহ মৌসুমী ফসলের ক্ষেত। কিছু কিছু এলাকায় পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ডালিয়া পয়েন্ট গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ৫ সে. মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও তা সকাল ৯টায় কমিয়ে বিপদসীমার ৫ সে.মি. নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।

অপরদিকে চরের বাসিন্দারা জানান, তিস্তার পানি শুক্রবার বিকাল থেকে বাড়তে শুরু করে। এতে করে বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকতে থাকলে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অনেকে নৌকায় করে চরের ফসল নিয়ে আসছেন উঁচু স্থানে।

লক্ষীটারী ইউনিয়নের চর পশ্চিম ইচলির ৭ বছরের সৌকত বাড়িত রাতে পানি উঠায় নৌকায় রান্না করার জিনিষপত্র নিয়ে রাস্তায় যাচ্ছি। সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মোন্নাফ বলেন, পানি বৃদ্ধিতে বাঘেরহাট আশ্রয়নসহ শংকরদহ, গোটা ইচলির প্রায় বাড়িতে পানি উঠেছে। অনেক ফসল তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধিতে কোলকোন্দের বিনবিনাচর, চিলাখালচর, মটুকপুরচর, নোহালীর চর, মিনার বাজার, গজঘন্টার ছালাপাকচর, গাওছোয়ার বাজার, মর্নেয়ার আলমার বাজার, নরশিং, তালপট্টি, আলাল চরসহ বিভিন্ন চর ও নি¤œ এলাকায় বসবাসরত বাড়িতে পানি উঠেছে। এসকল মানুষ গবাদি পশু নিয়ে যেমন সমস্যায় পড়েছেন তেমনি সাময়িক খাবার রান্না নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন। লক্ষীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, তার ইউনিয়নের ২ হাজারেরও বেশী পরিবার বাড়িতে পানি উঠেছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল (রোববার) রাত পর্যন্ত পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সোমবার সকালে পানি বিপদসীমার ৫ সে. মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।