জেলা প্রতিনিধি, রংপুর :
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মাদককারবারির কথামত নির্দিষ্ট স্থানে মাদক পৌঁছে না দেওয়ায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে মাদককারবারিরা। আহত যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া মডেল থানায় এজাহার দিয়েছে আহত যুবক।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের চর মর্নেয়া উত্তরপাড়ার (নদীরপাড়) এলাকার আব্দুস সবুরের পুত্র আব্দুর রশিদ (৩২) ২৫ ডিসেম্বর স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঢাকা কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসে। ২৭ ডিসেম্বর রশিদ সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের রাস্তায় হাটাহাটি করার সময় তার আত্মীয়তার সম্পর্কের একই এলাকার আইয়ুব আলীর পুত্র জহুরুল ইসলাম (৪২) ও আনছার আলীর পুত্র মাহাতাব উদ্দিন (৩৬) মোটরসাইকেল যোগে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুর রশিদকে বেড়ানোর জন্য মোটরসাইকেলে উঠতে বলে। রশিদ মোটরসাইকেলে উঠতে না চাইলে তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে বাড়ি থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে চরের মাঝে রাত প্রায় ৭ টার সময় নিয়ে যায়। সেখানে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার গোবর্ধন এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিন সরদারের পুত্র মন্টু মিয়া (৪৫) ও মৃত নুর মোহাম্মদের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) আসে। তারা তাদের কথামত কিছু মাদক নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিতে রশিদকে বলে। আব্দুর রশিদ বলেন, আমি অপরাগতা প্রকাশ করে মাদকের বিষয়ে প্রতিবাদ জানাই। এতে তারা সকলে ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে ভীষণ মারপিটসহ গলা চেঁপে ধরে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে প্যান্টের পকেটে মানিব্যাগে থাকা ৪৫ হাজার ৬শ টাকা ও আমার এনআইডি কার্ড বাহির করে নিয়ে আমাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চরের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। আমি সারারাত আহত অবস্থায় চরে মধ্যে পড়ে থাকি। পরের দিন আমার জ্যাঠাত ভাই চরে কাজের জন্য যেয়ে আমাকে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাড়িতে সংবাদ দিয়ে বাড়ির লোকজনসহ আমাকে উদ্ধার করে গঙ্গাচড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। তিনি অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেন। এজাহারের তদন্ত কর্মকর্তা জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি