অনলাইন ডেস্ক :
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আজ শনিবার থেকে সারাদেশে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। সারাদেশে বয়স্ক জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে এই গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
এর আগে গণটিকাদান কর্মসূচি ঘোষণার সময় এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। তবে, বর্তমানে সেই সংখ্যা কমিয়ে ৩২ লাখে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়াও এর আগে বলা হয়েছিল, ১৮ বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদের টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছিলেন, ১২ আগস্ট পর্যন্ত চলা এ ক্যাম্পেইন সারাদেশের চার হাজার ৬০২টি ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৪৩৩টি জায়গায় ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে।
স্বাস্থ্যের ডিজি আরো বলেন, বর্তমানে সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা দেশের সব জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে চাই। আমরা বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি বেশি।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ ক্যাম্পেইনের আওতায় আজ (৭ আগস্ট) দেশের সব ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। ইউনিয়নের যেসব ওয়ার্ডে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে ৭ আগস্ট করোনার টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না এবং পৌরসভার কোনো ওয়ার্ডে ৭ আগস্ট টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না, এসব জায়গায় ৮ ও ৯ আগস্ট টিকা দেওয়া হবে। তবে ৭ থেকে ৯ আগস্ট, এ তিনদিন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভ্যাকসিনেশন চলবে। ৮ ও ৯ অগাস্ট দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় টিকা দেওয়া হবে। আর ১০ থেকে ১২ আগস্ট ৫৫ বছরের বেশি বয়সী বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর মাঝে টিকাদান কার্যক্রম চলবে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটি নয় হাজার ৯৫৩ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ১৩১ জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম