নিজস্ব প্রতিবেদক:
৭ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এর আগে যারা যে কেন্দ্র থেকে প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন তারা সেই কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে পারবেন। প্রথম ডোজ দেওয়ার সময় যে টিকা কার্ড বা প্রিন্টেড রেজিস্ট্রেশন ফরম নিয়ে এসেছিলেন সেটা নিয়ে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে হবে। গণটিকার জন্য যত টিকা প্রয়োজন তা ইতোমধ্যে জেলা-উপজেলায় কোথাও কোথাও পৌঁছে গেছে, আবার কোথাও রোববারের মধ্যে পৌঁছে যাবে।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব কথা জানান অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর এমএমসিএএইচ ডা. মো. শামসুল হক। তিনি জানান, ৭ আগস্ট থেকে বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলায় কোথায় তিনদিন, কোথাও পাঁচদিন টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৩০ লাখ ডোজ দেওয়া হয়। এবারও যাতে ভালোভাবে টিকা দেওয়া যায় সে লক্ষ্যে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বয়স্ক ও নারীদের টিকা দেওয়া হবে।
এতে করে তাদের ভোগান্তি কমবে। ডা. মো. শামসুল হক আরও জানান, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েরা রেজিস্ট্রেশন করে টিকা গ্রহণ করবেন। যারা রেজিস্ট্রেশন পর এসএমএস পাননি তারা কেন্দ্রে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন দেখিয়ে চিকিৎসকের কাছে টিকাদানের সন্মতিপত্রে স্বাক্ষর করে টিকা দিতে পারবেন। প্রতিবন্ধীদের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সুবর্ণ কার্ডের মাধ্যমে টিকাদানের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা। বর্তমানে ১৮ বছরের ওপরের বয়সীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মাধ্যমে তালিকা তৈরি করে এনআইডির মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থী অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছে। যারা এখনও টিকা পাননি তারা এনআইডির মাধ্যমে আর যাদের এনআইডি নেই তারা জন্মনিবন্ধন সনদের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে, যাতে টিকা নিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম