April 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, February 22nd, 2022, 8:30 pm

গণটিকা সফল করতে দাগনভূঞা উপজেলা প্রশাসনের জরুরি সভা

জেলা প্রতিনিধি, ফেনী :
১২ বছরের উর্ধ্বে দেশের সকল নাগরিককে করোনা ভ্যাকসিন ১ম ডোজের আওতায় আনার লক্ষ্যে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এক কোটি মানুষকে দেওয়া হবে গণটিকা। কেউ টিকার নিবন্ধন করে না থাকলে কিংবা কারো জম্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্রও যদি না থাকে শুধু নাম, ঠিকানা ও একটি মোবাইল নম্বর দিয়েই এইদিন করোনার টিকা গ্রহণ করা যাবে। এরপর পর থেকে ১ম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ থাকবে। টিকা গ্রহণের এই সুযোগ কেউ নষ্ট করলে পরবর্তীতে তাকে সরকারি বিভিন্ন সেবাসহ দৈনন্দিন নানা কাজে ভোগান্তি পোহাতে হবে। সঙ্গত কারণে এই গণটিকা কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে খুবই তৎপর সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো। এরই অংশ হিসেবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত দাগনভূঞা উপজেলা কমিটির এক জরুরি সভা মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়ার সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক, সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ।
দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি গণটিকা কর্মসূচিতে দাগনভূঞার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় এক হাজার করে নয় হাজার লোককে টিকা দেওয়া হবে। এতে করে, টিকার আওতায় আসবে উপজেলার ৮০ ভাগ লোক। এ ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ৭০ ভাগ হলেও দাগনভূঞা উপজেলা এরইমধ্যে সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তবে গণটিকার দিন লক্ষ্যমাত্রার বেশি লোক হলেও টিকা প্রদানে কোনো সমস্যা হবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা মজুদ রয়েছে বলে জানান তিনি।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ২৬ ফেব্রুয়ারি গণটিকার দিন ১৮ বছর উর্ধ্ব বয়সীদের নিজ নিজ ইউনিয়ন ও পৌরসভা কেন্দ্রে এবং ১২ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সীদের দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা প্রদান করা হবে।
পৌরসভা ও ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্রগুলো হলো- দাগনভূঞা পৌরসভার ১৮ বছর উর্ধ্ব বয়সীদের টিকা কেন্দ্র দাগনভূঞা আতাতুর্ক সরকারি মডেল হাইস্কুল। সিন্দুরপুর ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্র সিন্দুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও সুজাতপুর হাইস্কুল। রাজাপুর ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্র কোরাইশমুন্সী আলিম মাদ্রাসা ও রাজাপুর বাজার মাদ্রাসা। পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্র পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও আমুভূঞার হাট আলিম মাদ্রাসা। রামনগর ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্র রামনগর ইউনিয়ন পরিষদ ও সেকান্দরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্র ইয়াকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। দাগনভূঞা সদর ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্র জমিলা খাতুন আলিম মাদ্রাসা ও রশিদপুর কমিউনিটি ক্লিনিক। মাতুভূঞা ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্র মাতুভূঞা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় এবং জায়লস্কর ইউনিয়নের টিকা সিলোনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১২ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সী সকল শিশুর টিকা কেন্দ্র দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
উল্লেখ্য যে, যে সকল লোক দাগনভূঞায় বসবাস করেন, কিন্তু স্থায়ী বাসিন্দা নয়-তারাও তাদের আবাসস্থলের আশপাশের কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা আক্তার তানিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম, রানগর ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার কামাল উদ্দীন প্রমুখ।