November 16, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, November 6th, 2023, 8:20 pm

‘গভীর সংকটে ভারত-কানাডা সম্পর্ক’

অনলাইন ডেস্ক :

কানাডার নাগরিকদের ওপর নয়াদিল্লির আরোপ করা ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরও সহজ করার মতো চমকপ্রদ পদক্ষেপ সত্ত্বেও ভারত ও কানাডার মধ্যকার বিপর্যস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা অনেকটাই দীর্ঘ প্রক্রিয়া হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ এ বিষয়ে উভয় পক্ষই নিজেদের সর্বোচ্চ অবস্থান গ্রহণ করবে। অটোয়া যখন জোর দাবি করেছিল যে খালিস্তানি শিখ নেতা হত্যার পিছনে ভারতীয় অ্যাজেন্টদের সরাসরি হাত থাকতে পারে, এরপরই কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। এর কয়েক সপ্তাহ পর সম্প্রতি আংশিকভাবে ভিসা সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি। সেই অভিযোগের পর থেকে পারস্পরিক দোষারোপ, যা ভারত দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে সংকটের দিকে নিয়ে গেছে।

যেহেতু ভারত ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে একটু নমনীয়তা দেখিয়েছে তাই দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়ে প্রত্যাশা আরও বেড়েছে। তবে এই পদক্ষেপকে অগ্রগতি হিসেবেও মানছেন বিশ্লেষকরা। কারণ উভয় পক্ষই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য খুব বেশি আগ্রহ দেখায়নি বলে উভয় দেশের কর্মকর্তারা এবং বিশেষজ্ঞরা রয়টার্সকে বলেছেন। নয়াদিল্লি বা অটোয়া কেউই দ্রুত সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে বা নেবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ কানাডা ব্যস্ত হত্যাকান্ডের তদন্ত এগিয়ে নিতে আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যস্ত মে মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত ভারতের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে।

ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, ‘সম্পর্কটি গভীর সংকটে রয়েছে, সম্ভবত এটি সবচেয়ে খারাপ। সঙ্কট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যাওয়ার বিষয়ে প্রতিটি পক্ষেরই দৃঢ় আগ্রহ থাকতে পারে, তবে এর অর্থ এই নয় যে সংকট সমাধানের জন্য শক্তিশালী উৎসাহ রয়েছে।’ ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কানাডায় ভারতের রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়া বলেছেন, ‘শান্ত কূটনীতি’ অনুসরণ করে সম্পর্কটি ‘ডি-এস্কেলেশন পর্যায়ে’ রয়েছে।

এমনকি প্রত্যাহারসহ, ভিসা নিষেধাজ্ঞাগুলো কানাডায় বসবাসকারী বা সেখানে পড়াশোনা করার পরিকল্পনাকারী কয়েক হাজার ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত লোকদের চলাচলে বাধা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও উভয় সরকারই ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্পর্ককে রক্ষা করেছে, তবে ক্ষোভ একটি মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনাকে বিলম্বিত করেছে এবং গ্রুপ অব সেভেন সদস্য কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক পরিকল্পনাকে হুমকির মুখে ফেলেছে, যেখানে নতুন দিল্লি ক্রমবর্ধমান দৃঢ় চীনকে চেক করার প্রচেষ্টার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।