জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পারভীন বেগম শায়লা (৩৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এই আদেশ দেন। এছাড়া তাকে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। পারভীন বেগম শায়লা গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বর্ধনকুঠি এলাকার মৃত মছির উদ্দিনের স্ত্রী। রায় ঘোষণার পর পারভীন বেগম শায়লা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এই মামলায় অপর চার আসামীকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। তারা হলেন গোবিন্দগঞ্জের মালাধর গ্রামের মো. আয়েজ উদ্দিনের ছেলে মো. বিপুল মিয়া (৪০), দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার পূর্বপাড়া এলাকার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রমজান আলী (৪৫) ও বড়গলি এলাকার মো. ইউসুফ আলীর ছেলে মো. সাজু মিয়া (৩৫) এবং সোহাগ হাসান। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আবু আলা মো সিদ্দিকুল ইসলাম রিপু, হানিফ বেলাল, বেগম হেলালী ও শাহনেওয়াজ খান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি মো. ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স বলেন, আসামীকে মৃত্যু পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে এই মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদিত হওয়ার পর রায় কার্যকর হবে। আপিল করতে মনস্থির করলে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী পারভীন বেগম শায়লাকে আগামী সাত দিনের মধ্যে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত হেরোইন ধ্বংস করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর বিকেলে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর থেকে বগুড়াগামী পায়রা মেইল বাসে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী হেরোইন নিয়ে গোবিন্দগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। পরে গোবিন্দগঞ্জের সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ মোড়ে অবস্থান করে বাসটিকে থামালে কয়েকজন জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় বাস থেকে যাত্রীরা নেমে যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে পারভীন বেগম শায়লার হাতে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ৫০০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে পারভীন বেগম শায়লা জানান, বাসের জানালা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের সহায়তায় তিনি হেরোইন বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বহন করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। একাজে সহযোগিতা করে মো. বিপুল মিয়া ও মো. রমজান আলীসহ পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা। কিন্তু অন্য পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা তিনি জানেন না বলে জানান। এই হেরোইন হিলিতে সাজু মিয়ার কাছ থেকে কিনে দেন মো. বিপুল মিয়া ও মো. রমজান আলীসহ পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি