November 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, April 17th, 2024, 8:07 pm

গাজায় দুর্ভিক্ষ রোধে এখনও বাধার সম্মুখীন হচ্ছে জাতিসংঘ

অনলাইন ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে এখনও বাধার সম্মুখীন হচ্ছে জাতিসংঘ। ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয়ে কিছুটা উন্নতি হলেও গাজায় সাহায্য বিতরণে এখনও সমস্যায় পড়ছে সংস্থাটি। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের একজন জেষ্ঠ্য সহায়তা কর্মকর্তা এই কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় প্রধান আন্দ্রেয়া ডি ডোমেনিকো।

তিনি বলেছেন, গাজায় পাঠানো সাহায্য অঞ্চলটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য চেকপয়েন্ট বিলম্বের সম্মুখীন হয়েছে। গত সপ্তাহে উত্তর গাজায় সাহায্য বিতরণের জন্য ত্রাণ প্রবেশের অনুরোধ জানিয়েছিল জাতিসংঘ। তখন সংস্থাটির করা অনুরোধের ৪১ শতাংশেই প্রত্যাখ্যান করা হয়। সাংবাদিকদের ডি ডোমেনিকো বলেন, ‘আমরা এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি যেখানে আমরা এক ধাপ এগিয়ে গেলে আরও দুই ধাপ পিছিয়ে যাই অথবা দুই ধাপ এগিয়ে গেলে আরও এক ধাপ পিছিয়ে যাই। এ কারণে আমাদের সবসময় একই বিন্দুতে আটকে আছি।’ এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেওয়া প্রতিটি নতুন সুযোগের সঙ্গে সঙ্গে আমরা নতুন আরও চ্যালেঞ্জেরও সম্মুখীন হব।

তাই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো আমাদের পক্ষে সত্যিই কঠিন।’ দীর্ঘদিন ধরে গাজায় সাহায্য পৌঁছাতে এবং সেখানে সেগুলো বিতরণে বাধা পাওয়ার অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। তবে পহেলা এপ্রিল ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাহায্য কর্মী নিহত হওয়ার পর অঞ্চলটির মানবিক সংকট নিয়ে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ বেড়েছে। সেখানে ২৩ লাখ মানুষ মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।

ডি ডোমেনিকো আরও বলেন, ‘সমস্যাটা শুধু খাবার নিয়ে নয়। এটি অনেক জটিল একটি সমস্যাৃএই দুর্ভিক্ষ রোধে পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্য একটি মৌলিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হামাসের ওই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ নিহত হন। এ সময় প্রতিরোধ যোদ্ধারা ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, পাল্টা হামলার শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের হাতে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।