অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় দেড় দিন অন্ধকারে ডুবে থাকার পর গাজায় ফিরতে শুরু করেছে বিদ্যুৎ, টেলিফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ। সংবাদ সংস্থা সাফা এবং হামাস সংশ্লিষ্ট শেহাব নিউজ এজেন্সি এ খবর নিশ্চিত করেছে বলে জানায় বিবিসি। এছাড়া, রিয়াল-টাইম নেটওয়ার্ক ডেটাও গাজা ভূখন্ডে ইন্টারনেট সংযোগ ফিরছে বলে জানিয়েছে। ইন্টারনেট মনিটরিং গ্রুপ ‘নেটব্লকস’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে গাজায় ইন্টারনেট ফেরার খবর দিয়েছে। গাজা অবস্থান করা কয়েকজন সাংবাদিকও এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। পরে এক্সে এক পোস্টে ফিলিস্তিন টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি থেকে বলা হয়, সেখানে টেলিফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা ধীরে ধীরে ফিরছে।
“আমাদের কারিগরি দলগুলি চ্যালেঞ্জিং এ পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর ক্ষতি দক্ষতার সঙ্গে সারিয়ে তুলছে।”শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গাজায় যোগাযোগের সব ধরণের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গত ২৭ অক্টোবর শুক্রবার গাজায় রাতভর তুমুল হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ইন্টারনেট ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে গাজাকে বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। ইসরায়েলের হামলার জবাবে ওই রাতে এবং পরদিন ভোরে হামাসও রকেট ছোড়ে। সেই রাতে আসলে কী ঘটেছিল তার বিশদ বিবরণ এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। ইসরায়েলের একের পর এক হামলায় শুক্রবার রাতে গাজা অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার পর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ছোট্ট ওই ভূখ-টির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
ত্রাণ সংস্থাগুলো তাদের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না। ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অ্যাম্বুলেন্স চালকরা জরুরি পরিষেবা চালিয়ে যেতে পারছিলেন না। শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু যা বলেছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে গাজায় এ সংঘাত কঠিন এবং দীর্ঘায়িত হতে চলেছে। নেতানিয়াহু বলেছেন, সংঘাত এখন নতুন ধাপে প্রবেশ করেছে। যুদ্ধের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। সামনে ভূমি, আকাশ ও নৌপথে আরো তীব্র অভিযান শুরু হওয়ার ইঙ্গিতও তিনি দিয়েছেন। তিনি এই যুদ্ধ কে ইসরায়েলের বেঁচে থাকার এবং অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। বলেছেন, যুদ্ধ শেষে ইসরায়েলই বিজয়ী হবে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু