অনলাইন ডেস্ক :
গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের ১৩ দিনব্যাপী হামলায় রোগী, স্বাস্থ্য সেবাকর্মী ও যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। হাসপাতালটি অবরোধের সময় ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা মর্টার শেল ও রকেট ছুড়ে ইসরায়েলি সৈন্য ও সাঁজোয়া যানে পাল্টা হামলা চালায়। খবর আলজাজিরার। এদিকে, ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ১০ হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের নীতির নিন্দা জানিয়ে এবং পণবন্দিদের দ্রুত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
অন্যদিকে, গাজা শহরে ফিলিস্তিনি সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া ওই ঘটনায় আহত হয় আরও ৩০ জনেরও বেশি নাগরিক। ফিলিস্তিনিরা সাহায্যপণ্য পাওয়ার আশায় রাস্তার মোড়ে অবস্থান নিলে কোনো কারণ ছাড়াই ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর গুলি চালায়। গত জানুয়ারি মাস থেকেই এরকম হামলার ঘটনা ঘটে আসছে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার মধ্যাঞ্চলে দেইর এল-বালাহ ও দক্ষিণে খান ইউনিসে বিমান হামলা ও কামানের গোলাবর্ষণ করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আল আকসা শহীদ হাসপাতাল আশপাশের এলাকায় প্রচ- গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে হাসপাতালটিতে অভিযান চালানোর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই সংগঠনটি ইরানপন্থি এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বিরোধী সশস্ত্র সংগঠন হিসেবে পরিচিত। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ৩২ হাজার ৭০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৫ হাজার ১৯০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই নিরীহ শিশু ও নারী। এ ছাড়া ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত হয় এক হাজার ১৩৯ জন।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু