অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের উত্তর গাজা উপত্যকার একটি শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক ভবনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগুন লেগে ২১ জন নিহত হয়েছে।
এ অঞ্চলটির হামাস শাসকরা বলেছেন, ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনিদের সহিংসতার বাইরে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনাগুলির মধ্যে একটি।
হামাস জানিয়েছে, জনাকীর্ণ জাবালিয়া ক্যাম্পের তিনতলা ভবনের তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। বাড়ির ভিতরে কেউ বেঁচে নেই।
হামাস দ্বারা পরিচালিত গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, আগুনের কারণ ভবনে মজুত করা পেট্রল।
তবে পেট্রলে কিভাবে আগুন লাগল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে।
গাজা হামাস শাসিত। ইসরায়েল-মিশরীয় অবরোধের কারণে তীব্র জ্বালানি সংকটের মুখে রয়েছে এখানকার অধিবাসীরা। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এখানকার নাগরিকেরা বাড়িতে রান্নার গ্যাস, ডিজেল ও পেট্রল সংরক্ষণ করে। এর আগেও কয়েকবার মোমবাতি ও গ্যাস লিকেজের কারণে বাড়িতে আগুন লেগেছে।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং শুক্রবারকে শোক দিবস ঘোষণা করেছেন।
জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি দূত টর ওয়েনেসল্যান্ড ‘দুর্ঘটনায় নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু, সরকার এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হুসেইন আল-শেখ ইসরায়েলকে গাজার সঙ্গে তার সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে আহতদেরকে পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমের ফিলিস্তিনি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা সেবা দেয়া যায়। পরে নিশ্চিত হওয়া যায় বাড়ির সবাই মারা গেছে।
গাজা স্ট্রিপের সঙ্গে ইরেজ ক্রসিং নিয়ন্ত্রণকারী ইসরায়েলি সংস্থা সিওজিএটি কোনো মন্তব্য করেনি।
কিন্তু ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার সমবেদনা জানিয়ে এ টুইটে লিখেছেন, ‘আমরা সিওজিএটি -এর মাধ্যমে আহত বেসামরিক নাগরিকদের হাসপাতালে সরিয়ে নিতে আমাদের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছি। ইসরায়েল রাষ্ট্র গাজার বাসিন্দাদের জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ