অনলাইন ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজা থেকে বিদেশি পাসপোর্টধারী ও গুরুতর আহতরা মিসরে পৌঁছেছেন। বুধবার (১লা নভেম্বর) কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতার আওতায় অ্যাম্বুলেন্সে করে রাফাহ সীমান্ত পার হয়ে মিসরে গেলেন তারা। দেশটির আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যম এবং সীমান্তের এক সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবরে বলা হয়েছে, রাফাহ সীমান্ত পার হয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে মিসর গেছেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে আহতরা। মিসর, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী অবরুদ্ধ গাজা ছাড়ার সুযোগ পাচ্ছেন বিদেশি ও গুরুতর আহত নাগরিকরা। বুধবার (১লা নভেম্বর) কাতারের মধ্যস্থতায় মিসর, ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে এই সমঝোতা হয়। চুক্তি মোতাবেক পাসপোর্টধারী বিদেশি নাগরিক ও গুরুতর আহতরা রাফাহ সীমান্ত অতিক্রম করে গাজা অতিক্রম করতে পারবেন। মিসরের একটি প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, ৫০০ জন পাসপোর্টধারী রাফাহ সীমানা অতিক্রম করে বুধবার মিসরে যেতে পারবে। এর মধ্যে ২০০ জনই বুধবার সকাল থেকে অপেক্ষারত ছিলেন।
দ্বিতীয় আরেকটি সূত্র বলছে, সবাই বুধবারের মধ্যেই সীমানা পার হতে পারবে না। কত দিন সীমান্ত খোলা থাকবে সে বিষয়েও নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। চিকিৎসা সূত্রের দেওয়া তথ্য মতে, সিনাইয়ের শেখ জুয়ায়েদ হাসপাতালে গুরুতর আহতদের জন্য একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের ব্যবস্থা করেছে মিসর। রাফাহ ক্রসিংয়ে অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে, প্রথম সূত্রটি বলেছে, হামাসের হাতে বন্দি প্রায় ২৪০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া এবং যুদ্ধবিরতির সঙ্গে এই চুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই। তবে অনেক দেশ যুদ্ধবিরতির কথা বললেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তা সরাসরি প্রত্যাখান করেছেন। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার আজ ২৬তম দিন। গত কয়েক সপ্তাহের হামলায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি শিশুসহ ৮ হাজার ৫২৫জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ৩ শতাধিক সেনাসহ ১৪০০ এর মতো ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন হামাসের হামলায়।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু