চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদাবাজির পরিকল্পনায় জড়িত একটি সিন্ডিকেটের সদস্যদের আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এই অভিযানে ২৭ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এই চক্রের ৫ মূলহোতাসহ ১৪ জন সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক ও গাজীপুর পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি দলটির বিরুদ্ধে সফল অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরেন। নির্যাতন ও মুক্তিপণের জন্য এই দল সাধারণ মানুষকে কল্পিত কাজের সুযোগ দিয়ে প্রতারিত করে আসছিল।
আটকরা হলেন- নীলফামারীর আস্তাকুল আমিন আনাম (৩০) ও মো. তৌফিক (২৪), রাজশাহীর ইমরান হোসেন (১৯), নাটোরের জুনায়েদ (২১) এবং ময়মনসিংহের রনি আহমেদ (২১)।
সক্রিয় সদস্য আজিজুল হাকিম (২৩) ও সালাউদ্দিন সরকার, পাবনার জিসান হোসেন (২১), কিশোরগঞ্জের রায়হান (১৮) চাপাইনবাবগঞ্জের আতিক হাসান (১৯), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পা আক্তার, শেরপুরের বিউটি খাতুন (২১) ও যশোরের বর্ষা খাতুন (১৯), বরিশালের তাহসিন আক্তার মীমকে (২০) আটক করেছে র্যাব।
এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ভুক্তভোগী সাকিব ও ফারজানা ছাড়াও আরও ২৫ জনসহ মোট ২৭ জনকে উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা বিভিন্ন প্রতারণার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করেন। সাকিব ও ফারজানা আক্তার একটি কোম্পানিতে চাকরির জন্য চক্রটি তাদেরকে প্রথমে আটকে রেখে গাজীপুরের একটি অজ্ঞাত বাড়িতে নিয়ে যায় এবং তাদের পরিবারের কাছে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা র্যাবকে জানান, তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। দীর্ঘদিন যাবৎ এই চক্রটি বিভিন্ন সময়ে বেস্ট অ্যাকশন সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান এবং তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে অনলাইনে ভুয়া চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
চক্রটির স্থায়ীভাবে কোনো অফিস ছিল না বিধায় তারা গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার হারিকেন রোডের রশিদ মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসাকে তারা অস্থায়ী অফিস হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম