গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে লুণ্ঠিত বেশ কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এই সময় ৯ জনেকে গ্রেপ্তর করা করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। তাদের দাবি গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- রবি দাস (৪৫), ফারুক (৩৫), ইমন উদ্দিন (২৯), চন্দন চন্দ্র দাস (৩৬), হাবিবুর (৪৮), নার্গিস আক্তার (২৫), শিল্পি আক্তার (৩০), রিনা আক্তার (৫০) ও জসিম (৪৫)। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, সুনামগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায়।
সোমবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৭ মার্চ নগরের পুবাইলের তালুটিয়া এলাকার হারাধন চন্দ্র শীলের বসত বাড়িতে এক ডাকাত দল হানা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৫৫ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, পিতলের মূর্তি, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও মোবাইল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলার পর আসামি গ্রেপ্তার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার অভিযানে কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযু্ক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডাকাতি, লুন্ঠিত মালামাল হেফাজতে রাখা ও ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা, চারআনা ওজনের স্বর্ণালংকার, দুটি রাধা মূর্তি, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, সেলাই রেঞ্জ এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত দুটি রামদা, দুটি কাওয়াল উদ্ধার করা হয়।
মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতি ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি