প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ব্রাসেলস সফরকে ‘অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এই সফর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সহায়তা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এই সফর ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়ে’ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সফর। এটি আমাদের জন্য একটি অর্জন।’
কেন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়- জানতে চাইলে মোমেন বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইইউ বাংলাদেশকে ৪০৭ মিলিয়ন ইউরো রেয়াতযোগ্য ঋণ ও অনুদান হিসেবে দেবে।
এর মধ্যে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো রেয়াতযোগ্য ঋণ হবে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইইউ সাত সদস্যের একটি দল পাঠাবে এবং বাংলাদেশ বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য অর্থ ব্যয় করবে না।
প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন, যেখানে বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, নেতৃস্থানীয় চিন্তাবিদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিশ্বজুড়ে সরকারের প্রতিনিধিরা একত্রিত হবেন।
আগামী ২৫ ও ২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হবে এই ইভেন্ট।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২৭ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
তিনি বলেন, ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন সম্প্রতি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান।
টেকসই উন্নয়ন এবং সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং সমান অংশীদারিত্বের মতো ইউরোপীয় মূল্যবোধের উপর জোর দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্লোবাল গেটওয়ে কৌশল। একই সঙ্গে পরিবহন ও সরবরাহ শৃঙ্খল, সবুজ শক্তি, আধুনিক টেলিযোগাযোগ, শিক্ষা ও গবেষণার বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে বিশ্বজুড়ে দেশ ও অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র