অনলাইন ডেস্ক :
দুজনের মধ্যে খুব যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, তা নয়। কিন্তু পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জায়গায় ইয়ুর্গেন ক্লপ ও পেপ গুয়ার্দিওলা দুজনেই দুজনকে সম্মান করেন ভীষণ। তবে, এবার একটু মজা করলেন ক্লপ। লিভারপুল কোচের চাওয়া কোচিং থেকে চার বছরের ছুটি নিক তার প্রতিদ্বন্দ্বী গুয়ার্দিওলা! ক্লপের এই চাওয়ার কারণ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ গুয়ার্দিওলার সঙ্গে তার চলমান দ্বৈরথ। যার শুরুটা হয়েছে ২০১৬ সালে গুয়ার্দিওলা সিটির হাল ধরার পর থেকে। দুজনেই দুজনের সেরাটা নিংড়ে বের করে আনছেন, প্রতিটি ম্যাচে, প্রতিটি মৌসুমে। সাম্প্রতিক লিগ মৌসুমগুলোতে পয়েন্ট টেবিলে দুই দলের মধ্যে চলেছে ধুন্ধুমার লড়াই। ২০২০ সালে লিগ শিরোপা জেতা লিভারপুল আরও দুই মৌসুমে উৎসব করতে পারত, কিন্তু সিটির কাছে মাত্র ১ পয়েন্টের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় তা হয়নি! ওই দুবারই ট্রফি উঠেছে গুয়ার্দিওলার হাতে। সবশেষ গত মৌসুমেও এই তেতো অভিজ্ঞতা হয়েছে ক্লপের। লিভারপুলের সঙ্গে ক্লপের চুক্তি আছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। আগামী গ্রীষ্মে গুয়ার্দিওলার সঙ্গে সিটির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ফুরাবে। এই স্প্যানিশ কোচ অবশ্য চুক্তি নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন। আছেন নির্ভার। আগামী নভেম্বরে কাতার বিশ্বকাপের সময়ের বিরতিতে সিটির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে গুয়ার্দিওলা আলোচনা বসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ইস্যুতে ক্লপের কাছে প্রশ্ন ছিল, গুয়ার্দিওলাকে তিনি প্রিমিয়ার লিগে আরও অনেক দিন দেখতে চান কিনা? জার্মান কোচ উত্তরও দিয়েছেন রসিকতার সুরে। “আমি চাইব, গুয়ার্দিওলা যেন চার বছরের বিশ্রাম নেন। আসলে তিনি গত চার বছর ছুটি কাটালে আমার ভালো লাগত। মজা করে বলছি।” “জানি না, আমাকে কতবার বলতে হবে যে তিনি বিশ্বের সেরা কোচ এবং এটা তিনি সবসময় এবং প্রতি দিন দেখাচ্ছে। (তার অধীনে) সিটি যেটা করছে, সেটা বিশেষ কিছু, আসলেই বিশেষ কিছু এবং আমি এটাকে সম্মান করি। দারুণ ব্যাপার এবং এ নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই।” দুজনের মধ্যকার সম্পর্ক বোঝাতে টেনিসের দুই কিংবদন্তি রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালের প্রসঙ্গও টানলেন ক্লপ। সেখানেও উঠে এলো পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের বিষয়টি। “আমি রজার ফেদেরার নই এবং পেপও রাফায়েল নাদাল নন-ফেদেরার ও নাদাল সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে এবং দুজনে সেরা বন্ধু।” “পেপ ও আমি সেরা বন্ধু নই; কেননা, আমরা পরস্পরকে জানি না, কিন্তু আমি তাকে ভীষণ শ্রদ্ধা করি এবং জানি, আমরা যেটা করছি, তিনিও এটাকে শ্রদ্ধা করেন।” প্রতিপক্ষ কোচদের প্রতি নিজের ভাবনা, দর্শনও জানিয়ে দিলেন ক্লপ। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁঝও থাকল। “প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আমাদের কারো প্রতি অসম্মানজনক হওয়ার প্রয়োজন নেই। কোনো সাক্ষাৎ ছাড়াই ম্যাচের মধ্যে আমাদের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক আছে এবং ম্যাচ চলাকালীন আমরা দুজনেই পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী।” চলতি মৌসুমেও দারুণ ছন্দে এগিয়ে চলেছে গুয়ার্দিওলার সিটি। ক্লপের লিভারপুলের অবস্থা অবশ্য ভালো নয়। ৯ ম্যাচে ৭ জয় ও ২ ড্রয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ৮ ম্যাচে মাত্র ২টিতে জয়ী লিভারপুল ১০ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে ১১ নম্বরে।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা