জেলা প্রতিনিধি :
কিশোরী গৃহকর্মীকে টানা পাঁচ দিন ধরে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাহিদা আক্তার রেনু (৩৪) নামে এক নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে থানার মোহরা এলাকায় ওই নারী চিকিৎসককে শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডা. নাহিদা মোহরার বালুরটাল এলাকার বাসিন্দা ইউনুস কোম্পানির পুত্র রফিকুল হাসানের স্ত্রী। তিনি চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-ব্লকের ১০ নম্বর রোডের একটি বাসায় থাকেন। পুলিশ জানায়, এক বছর আগে থেকে ডা. নাহিদার বাসায় কাজ করেন ১৫ বছর বয়সী কিশোরী তসলিমা আক্তার। বিভিন্ন সময় তাকে নির্যাতন করত ডা. নাহিদা। গত ১৮ জুলাই তসলিমা তার চোখে ডা. নাহিদার কাজল ব্যবহার করে। বাসায় ফিরে নাহিদা তা দেখতে পেয়ে কিশোরী তসলিমার ওপর নির্যাতন শুরু করে এবং টানা পাঁচ দিন আটকে রেখে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে একটি সেলুনে গিয়ে তার মাথার চুলও ফেলে দেয়া হয়। এদিকে গত বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী তসলিমার বাবা তার কন্যার সঙ্গে দেখা করতে আসে। কিন্তু ডা. নাহিদা তাকে দেখতে দেয়নি। এরইমধ্যে জানালার ফাঁকে মেয়েকে আটকে রাখতে দেখে তার বাবা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চান্দগাঁও থানায় এসে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযোগের কয়েক ঘণ্টার মাথায় ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. নাহিদাকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চান্দগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসককে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি