জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের চাঙ্গুরা সাঁওতাল পল্লী থেকে সোমবার সকাল ১১টার দিকে স্বামী অনিল মুরমু(৪০) ও স্ত্রী সুমী হম্রম (৩৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বামীর লাশ শোয়ার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় ও তার স্ত্রীর লাশ ঘরের বারান্দায় পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
গ্রামবাসির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাহেদ হোসেন চৌধুরী জানান, অনিল মূরমূ মাঝে মধ্যেই নেশা করতেন। এই নেশা করাকে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। এরই জেরই ধরে খুব সম্ভবত রোববার রাতে স্বামী অনিল মুরমু তার স্ত্রী সুমী হে¤্রমকে শ^াসরোধ করে হত্যার পর নিজেও ঘরের ভেতরে গিয়ে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে গ্রামবাসি মনে করছেন।
এব্যাপারে উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত বৈরাগীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক এসআই মিলন চ্যাটার্জী জানান, খবর পেয়ে সোমবার ওই বাড়িতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। তিনি আরও জানান, ওই বাড়িতে অনিল মুরমু ও তার স্ত্রী দুই মেয়ে বসবাস করে। বড় মেয়ে মনিকা (১৫) এবং ছোট মেয়ে সাবানা (১০) জানিয়েছে, তারা দু’বোন বাড়ির অন্য ঘরে থাকে। সকালে ঘুম থেকে ওঠে ঘর থেকে বেরিয়ে বাবা-মাকে ডাকতে গিয়ে দেখে মা সুমী হে¤্রমের লাশ বারান্দায় পড়ে আছে এবং এসময় তাদের শোয়ার ঘরের দরজা খোলা ছিল। ঘরে ঢুকে তারা বাবাকে ঘরের ধর্নার সাথে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইজার উদ্দিন ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ দুটি উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি