জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
তিন সপ্তাহ ধরে সাপ্তাহিক মজুরি বন্ধসহ নানা কারণে বেশ কিছুদিন যাবত মানবেতর জীবন যাপন করছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার গুলনী চা বাগান শ্রমিকরা।
উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড গুলনি চা বাগানে তিন সপ্তাহ ধরে বেতন পাচ্ছেনা চা শ্রমিকরা।এতে বিপাকে শত শত চা শ্রমিক পরিবার।বেতন বন্ধ হলেও বন্ধ নেই তাদের কাজ।এক বেলার খাবার দিয়ে চলে তিন বেলা। মানবেতর দিনাতিপাতে দুর্বিষহ অবস্থায় চা শ্রমিকদের জীবন ।কবে বেতন পাওয়া যাবে তাও নেই কোন নিশ্চয়তা। অনিশ্চয়তার দুর্দিনে দূর্রিপাকে চা শ্রমিকদের ভবিষ্যত জীবনমানে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। চা শ্রমিকরা চায় তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ, রেশন, চিকিৎসা, স্থায়ী বাসস্থান নিশ্চিত করন।
নারী চা শ্রমিকরা জানান, আমারা অসহায় চা শ্রমিক। সারা দিন খাঁটুনির পর সামান্য যে পরিমান টাকা পয়সা পাই তাই দিয়ে সংসার চলে আমাদের। কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবত আমাদের উপর অত্যাচার শুরু করেছে বাগান কর্তৃপক্ষ। তারা আমাদের বেতন ও বোনাসসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন কিভাবে আমরা সংসার চালাবো তা বুঝতে পারছি না।একবেলা ভাত খেলে অন্য বেলা আলু সিদ্ধ পরের বেলা কচু সিদ্ধ করে খেতে হয়।তারা বলেন একেক জনের পরিবারে পাঁচ থেকে সাতজন করে লোক রয়েছে কিন্তু কাজের লোক একজন। পরিবারের একজন শ্রমিকের মজুরি দিয়ে কি একটা সংসার চলে।
গুলনী চা বাগান ভেলি কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবু বাউরী বলেন, তার অধীনে তেইশটি চা বাগানে প্রায় নয়হাজার চা শ্রমিক রয়েছে। মালিক পক্ষের সাথে কথা হয়েছে চা শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের চেষ্টা চলছে।
গুলনি চা বাগানের ম্যানেজার শাহাবুল্লাহ সরকার নয়ন বলেন, চা উৎপাদন বেশি হলেও কম মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে মালিক পক্ষ লোকসানে রয়েছে।ভর্তুকি দিয়ে কত চালানো যায়।তারপরও মালিকপক্ষ চা শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের জন্য ব্যাংক লোন গ্রহণের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি