অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর শান্তিতে নেই দেশটির সাধারণ মানুষ। প্রতিদিনই সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ ও মিলিশিয়া বাহিনীর লড়াই চলছে। এই লড়াই চলার মধ্যেই দেশটির একটি শহর থেকে প্রায় ৮ হাজার বাসিন্দা পালিয়ে গেছে। পালিয়ে যাওয়া এসব বাসিন্দারের বাড়িতে কামান দিয়ে আগুন লাগিয়ে সব কিছু পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে এসব বাসিন্দা মিয়ানমার থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পালিয়ে গেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তাদের রুখতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের রুখে দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে দেশটিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রতিরোধ বাহিনীর প্রতিদিনই সংঘর্ষ চলছে। এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, মিয়ানমারের ওই শহটিতে প্রায় ২০টি ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। একটি আগুন লাগা ভবন থেকে অগ্নিদগ্ধদের বের করতে গিয়ে সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন খ্রিস্টান এক ধর্মযাজক। একজন বাসিন্দা মিয়ানমার নাউকে জানিয়েছে, শহর থেকে ১০০ শতাংশ মানুষ পালিয়ে গেছে। তবে যারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেনি তারাই এখানে বাস করছে। ভারতের মিজোরাম জেলার একটি সিভিল সোসাইটির প্রধান রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি থমাস অ্যানড্রুজ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের থ্যাংল্যাং শহর এখন জীবন্ত নরকে পরিণত হয়েছে। এখানে প্রতিনিয়ত সেনাবাহিনীর হাতে সাধারণ মানুষ নির্যাতন হচ্ছে।
দেশটিতে ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর হাজার হাজার মানুষ তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামে। বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে এক হাজার মানুষকে হত্যা করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ ছাড়া ৬ হাজার মানুষকে আটক করে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু