অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণসহ আটটি প্রতিষ্ঠান ‘জবরদখলের’ অভিযোগ করেছেন।
তারই প্রতিষ্ঠিত অপর প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণসহ এসব প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। ঢাকার মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডে ‘টেলিকম ভবন’ নামে ১৩ তলা একটি ভবনে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যালয়।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারোটায় টেলিকম ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “ আমরা একটা ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেছি। আমরা একটা স্বপ্নের বীজতলা হিসেবে এই ভবন তৈরি করেছিলাম”।
“কিন্তু চারদিন আগে ১২ই ফেব্রুয়ারি কিছু বাইরের লোক এসে এটা জবরদখল করে নিলো। আমরা তাদের কাছে বাইরের লোক হয়ে গেলাম। আমরা পুলিশের সহায়তা চাইলাম তারা প্রথমে জিডি গ্রহণই করলো না। তারপর একবার এসে ঘুরে গেলো , কিন্তু কোন অসুবিধা দেখলো না” জানান তিনি।
“আমরা বহুরকম দুর্যোগের মধ্যে যাই। কিন্তু এই রকম দুর্যোগ আর দেখিনি কোনদিন। তারা আমাদের দরজায় এসে তালা দিয়ে যাচ্ছে, সকালবেলা এসে আবার খুলে দিচ্ছে। এইরকম জবরদখল আর দেখিনি। আইন -আদালত কোথায় গেলো?” প্রশ্ন রাখেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গত ১২ ই ফেব্রুয়ারি বিকেলে টেলিকম ভবনে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয়ধারী কয়েকজন ব্যক্তি গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ‘দখলের’ খবর বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপর এনিয়ে প্রথমবারের মত কথা বললেন ড. ইউনুস।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ