ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত ৩টা থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এতে পদ্মার উভয়পাড়ে আটকা পড়ে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাকসহ যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটাকর, মাইক্রোবাসসহ দুই শতাধিক যানবাহন। পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা পড়েন দুর্ভোগে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল জানান, মধ্যরাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে রাত ৩টার দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, এসময় মাঝ পদ্মায় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে নোঙর করে রাখা হয় ফেরি শাহ পরান ও হাসনা হেনা নামে দুইটি ফেরি। এছাড়া ছোটবড় মিলে আরও ১২টি ফেরিকে উভয় ঘাটে আটকে রাখা হয়।
দীর্ঘ সময় থেকে ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকে পড়ে দুই শতাধিক যানবাহন। এদের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, ছোটগাড়ি প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মিলে শতাধিক যানবাহন ও আরও শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে বলে তিনি জানান।
ঘন কুয়াশার তীব্রতা না কাটা পর্যন্ত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে না বলেও তিনি জানান।
একই কারণে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটেও রাত সোয়া দুইটা থেকে ফেরি চলাচল এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। উভয়ঘাটে আটকে রাখা হয়েছে পাঁচটি ফেরিকে।
কুয়াশার তীব্রতা কমলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি