অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ঘরের বাইরের চেয়ে ভেতরের বায়ু বেশি দূষিত। ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে শহরটিতে পরিচালিত নতুন গবেষণায় এমনটাই জানা গেছে। আর এমন পরিস্থিতিতেও বায়ুদূষণ রোধে কোনো পদক্ষেপ নিতে অনীহা রয়েছে শহরটির অধিকাংশ বাসিন্দার। বেশ কিছুদিন ধরেই চরম বিষাক্ত দিল্লির বাতাস। দিন দিন বেড়েই চলেছে দূষণের মাত্রা। কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পদক্ষেপের পরও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছেনা বায়ুদূষণ। আর এখন জানা গেলো, ঘরে থেকেও দূষণ থেকে নিরাপদ নন কেউ। দিল্লিতে পরিচালিত নতুন এক গবেষণা তাই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে প্রশাসনসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট- ইপিআইসি ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে গবেষণাটি পরিচালনা করে। দিল্লির কয়েক হাজার পরিবারের ওপর জরিপ চালান তারা। এতে দেখা যায়, নয়াদিল্লির বাতাসে থাকা ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর ক্ষুদ্র বস্তুকণা পিএম ২ দশমিক ৫-এর পরিমাণ ঘরের বাইরের চেয়ে, ঘরের ভেতরে আশঙ্কাজনক মাত্রায় বেশি। আর ঘরের ভেতরের অবস্থা এমন হওয়া সত্ত্বেও বায়ুদূষণ ঠেকাতে দিল্লির বেশিরভাগ পরিবারেরই কোনো আগ্রহ নেই। ইপিআইসি’র গবেষকরা বলছেন, উচ্চবিত্ত পরিবারগুলোর কাছে নিম্নআয়ের পরিবারের তুলনায় ১৩ গুণ বেশি বায়ু পরিশোধক যন্ত্র বা এয়ার পিউরিফায়ার রয়েছে। তবুও সেসব ধনী পরিবারের ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণের মাত্রা তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পরিবারের তুলনায় মাত্র ১০ শতাংশ কম। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ৩০টি শহরের ২২টি-ই ভারতের। বায়ুদূষণের কারণে দেশটিতে বছরে ১০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বিগত ৬ বছরের মধ্যে নয়াদিল্লির বায়ুদূষণ পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ রূপ নেয় চলতি বছরের নভেম্বরে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২