March 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, May 12th, 2023, 9:39 pm

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় উপকূলীয় এলাকায় প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। তাই দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে মোখা মোকাবেলা ও দুর্যোগ পরবর্তীতে করণীয় সম্পর্কে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। শুক্রবার (১২ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তর ঘূর্ণিঝড় মোখার সবশেষ অবস্থান তুলে ধরতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে- এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ‘মোখা’ সিডরের মতো আই ফরমেশন বা চোখাকৃতির দিকে এগোচ্ছে। উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার গতি গড়ে ঘণ্টায় আট থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে।

তবে, মোখা উপকূলে আঘাতের সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার। এ গতিবেগ থাকলে রোববার দুপুর নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল দিয়ে ও মিয়ানমারের উত্তর উপকূল দিয়ে মোখার অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝুঁকিতে আছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এ ছাড়া রয়েছে সেন্টমার্টিনসহ পুরো কক্সবাজার জেলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। আজ শনিবার থেকে সারাদেশেই বেড়ে যাবে বৃষ্টিপাত। বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বইবে দমকা বাতাস। পরদিন রোববার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান- আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। এদিকে উপকূলীয় এলাকার জেলা সংবাদদাদের কাছে জানা যায়।

চট্টগ্রাম: জেলার ১৫ উপজেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং প্রায় ৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানিয়েছেন, ‘দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রাথমিক চাহিদা মিটানোর ত্রাণ হিসেবে চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এখান থেকে জরুরি হটলাইন নম্বরে (০২৩-৩৩৩-৬৩০-৭৩৯) ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য ও সেবা পাবেন চট্টগ্রামবাসী। পাশাপাশি জানমালের ক্ষতি কমাতে ৪১টি ওয়ার্ডে ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

নোয়াখালী: জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলা ও দুর্যোগ পরবর্তীতে করণীয় সম্পর্কে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সভা করে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলায় মোট ৪৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও তিনটি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত রয়েছেন প্রায় সাড়ে ৭ হাজারের মত স্বেচ্ছাসেবী। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে ১১১টি মেডিকেল টিম। এছাড়া, রেডক্রিসেন্ট ও সিপিবির ৫ শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবীও দুর্যোগকালীন সময়ে সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

ফেনী: জেলার সোনাগাজী উপকূলীয় অঞ্চলে ৪৩টি আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে ১৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান জানান, উপকূলীয় মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ১৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের। শনিবারের মধ্যে বোরো ধান সম্পূর্ণরূপে কর্তন সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, বর্তমানে মাঠে আর কোন ফসল নেই। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, উপকূলীয় এলাকায় ভেঁড়া আছে ৪ হাজার ৮৬১টি, ছাগল ২ হাজার ১৩০টি, গরু ৬ হাজার ৩১০টি, মহিষ ২ হাজার ৫৭২টি, হাঁস ২৩ হাজারটি এবং মুরগী আছে ১ লাখ ৩০ হাজার। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পূর্বেই উন্মুক্ত চর হতে প্রাণিগুলো খামারির মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্র জানায়, তালিকাভুক্ত আড়াইশো জেলে রয়েছে। ছোটবড় শতাধিক মাছ ধরার নৌকা রয়েছে। তাদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে দুর্যোগে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় চাল, নগদ টাকা, শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।

লক্ষ্মীপুর: জেলায় ৬৪টি মেডিকেল টিম ও ১৮৫টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। দুর্যোগকালীন ত্রাণ তহবিলে ৮ লাখ ১২ হাজার টাকা ও ৪২০ টন চাল রয়েছে। এ ছাড়া জরুরী দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও হেল্পলাইন নাম্বার চালু করা হবে। সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দূর্যোগকালীন কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দূর্যোগ থেকে মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণী রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি ও রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব তথ্য জানান- জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।

খুলনা : জেলায় ১১৬টি মেডিকেল টিম এবং ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত করা হচ্ছে ৪০৯টি আশ্রয় কেন্দ্র। সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

বাগেরহাট: জেলায় ৮৪টি মেডিকেল টিম, ১ হাজার ৯২০ জন সিপিপি’র সদস্য, ৫০০ জন রেড ক্রিসেন্ট সদস্য, রোভার, বিএনসিসি, স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন, এনজিও, প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং ৪৪৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৫ জন আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবেন। এ ছাড়া ত্রাণ প্রদানের জন্য ৫২২ দশমিক ৮০০ টন চাল, নগদ ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে শুকনা খাবার যেমন চিড়া, গুড়, মুড়ি, বিস্কুট, গুড়োদুধ, মোমবাতি, বিশুদ্ধ পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও বিভিন্ন উপকরণ এবং খাবার স্যালাইন মজুদ রাখার জন্য সিভিল সার্জন, নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য এবং ইউএনওদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি মসজিদে ইমামদের মাধ্যমে মাইকিং করে ঝড়ের আগে, ঝড়ের সময়ে এবং ঝড়ের পরে করণীয় এবং উপকূলবর্তী প্রতিটি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ঘোষণা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও প্রস্তুত করে রেখেছে জেলা প্রশাসন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোলরুম খোলা হচ্ছে। ঝড়ের আগে ধান কাটা, মাছ ধরা এবং মাছের ঘেরের পাড়-নীচু জমি নেট দিয়ে ঘিরে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যথাসময়ে গবাদি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবক এবং খামারিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজিজুর রহমানের বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

ভোলা: জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। এছাড়াও মাঠে থাকবে ১৮ হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক। গঠন করা হয়েছে ৯৮টি মেডিকেল টিম। সাত উপজেলায় খোলা হচ্ছে মোট আটটি কন্ট্রোল রুম। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী এ তথ্য জানান। এ ছাড়া মাঠের প্রায় ৯০ ভাগ পাকা ধান কর্তন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবারের মধ্যে বাকিটা হয়ে যাবে।

বরগুনা: জেলায় প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও ৬৪২ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে প্রশাসন। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। জেলার ৬৪২ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সিপিপির মোট ৮ হাজার ৪৬০ জন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৩০০ জন, জাগোনারী’র ১৫০ জন, ব্র্যাকের ৩৫৫ জন ও রোভার স্কাউটের ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক তৈরি রয়েছেন। সাগরে থাকা জেলেরা ট্রলার ও নৌকা নিয়ে উপকূলের নিরাপদ স্থানগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, অধিকাংশ জেলেই তীরে ফিরে এসেছে। সমুদ্রে মাছ শিকাররত জেলেদের ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস জানিয়ে দেয়া হয়েছিলো। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ সব জেলে তীরে ফিরে আসবেন বলে আশা করছি। জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, জেলায় ২৯৪ টন খাদ্যশস্য মজুদ রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি ত্রাণ বাবদ ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ১৪২ বান্ডিল ঢেউটিন ও গৃহনির্মাণ ব্যয় বাবদ ৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা, ২ হাজার কম্বল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় বরগুনায় মোট ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন।

সাতক্ষীরা: জেলার শ্যামনগর উপজেলার ১৬৩টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত শুকনা খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, মেডিকেল টিম, স্বেচ্ছাসেবক টিম, রাস্তার পরিস্কার রাখার জন্য সমিল শ্রমিক প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এদিকে, কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার লে. বিএন এইচ.এম.এম হারুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে উপকুলীয় অঞ্চল সমুহ, সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে সাইক্লোন সেন্টারে নেয়ার পাশাপাশি কোস্টগার্ড স্টেশনে আশ্রয় প্রদান করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় কোষ্টগার্ডের জাহাজ, বোর্ট, স্টেশন, আউটপোস্ট এবং ডিজিস্টার রেসপন্স এ- রেস্কিও টিম, মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কোস্টগার্ড কর্মকর্তা ও নাবিকদের ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় উপকুলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়োজিত করা হয়েছে এবং জরুরি অবস্থা মোকাবেলার জন্য কন্ট্রোল রুম পরিচালনা করা হচ্ছে।

চাঁদপুর: জেলার নদী উপকূলীয় এলাকায় সর্বসাধারণকে সতর্ক করতে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। তিন নদীর মোহনা, বেদে পল্লী, মাছঘাট, জেলে পল্লী, লঞ্চঘাট ও যাত্রীবাহী লঞ্চে মাইকিং করেন কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের টহল বাহিনীর সদস্যরা। বিকেলে ফায়ার সার্ভিস এ- সিভিল ডিফেন্স চাঁদপুর উত্তর স্টেশনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গাড়ী দিয়ে মাইকিং করা হয়। কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন থেকে জানানো হয়, কোস্ট গার্ড ঢাকা জোন কর্তৃক জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক সমন্বয়সাধনের জন্য জরুরি : ০১৭৬৯-৪৪০৩৩৩ নম্বরে ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদান করা হবে।

কক্সবাজার: জেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সাড়ে ৩ হাজার ভলেন্টিয়ার প্রস্তত রাখা হয়েছে। ভূমিধস ও বন্যায় প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হবে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়ে প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।