চট্টগ্রামে রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী ইউনিয়ন আন্দোলনের কারণে চালক সংকটে পড়েছে রেলওয়ে। এ কারণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ৮টি ডেমু ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার থেকে মাইলেজ ভাতা পেনশনের সঙ্গে যোগ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করেছে সংগঠনটি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ (চালক, সহকারী চালক, গার্ড, টিকিট চেকার) ট্রেনে দায়িত্ব পালন শেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান। তবে রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময়ও কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়। যা রেলওয়েতে মাইলেজ সুবিধা হিসেবে পরিচিত।
শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, রেলওয়েতে রানিং স্টাফের পদ ২ হাজার ২০০টি। কাজ করেন মাত্র ৯০০ জন। রানিং স্টাফরা অতিরিক্ত কাজ করেই ট্রেন চলাচল সচল রেখেছেন। কিন্তু অতিরিক্ত কাজের মজুরি না পেলে একজন শ্রমিক কেন কাজ করবেন? তাই রবিবার থেকে রানিং স্টাফরা নির্ধারিত কর্মঘণ্টার বাইরে অতিরিক্ত কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে রানিং স্টাফরা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন না করলে রেলওয়ের নির্ধারিত ট্রেনসূচি ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে বড় ভোগান্তিতে পড়বেন যাত্রীরা।
রবিবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রথম দিনেই চট্টগ্রামের নাজিরহাট ও দোহাজারী রুটে চলাচলকারী ৮টি ডেমু ট্রেনের যাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটে যাতায়াত করা শত শত যাত্রী।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাফর আলম বলেন, লোকাল রুটে কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল হলেও আন্তঃনগরসহ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোর যাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগে ভাতার ৭৫ শতাংশ ‘পার্ট অব পে’ হিসেবে ধরে পেনশনে যোগ হতো। ২০২২ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনে জানায়, মাইলেজ ভাতা পেনশনে যোগ হবে না। ভাতার পরিমাণ মাসিক মূল বেতনের বেশিও হতে পারবে না।
এরপর থেকে দফায় দফায় আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি