এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং পর্যটনের উন্নয়নে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে সংযুক্ত করতে ডুয়েল-গেজ রেলপথ নির্মাণে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ চুক্তি সই করেছে।
বাংলাদেশ ও এডিবির পক্ষে যথাক্রমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশের পক্ষে এডিবির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবো নিং চুক্তিতে সই করেন।
এই সহায়তা এসএএসইসি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য এডিবির ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ঋণের তৃতীয় অংশ থেকে দেয়া হবে।
রাজস্ব বৃদ্ধি, সংস্কার এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায় সহায়তার জন্য এডিবি বাংলাদেশে ৪০০ মিলিয়ন ঋণ অনুমোদন করেছে
এই ঋণ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের মধ্যে ১০২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে।
জিয়াংবো নিং বলেন, ‘এডিবি সরকারকে তার ঋণ সহায়তার অর্থ সড়ক থেকে রেলে স্থানান্তর করছে, যা একটি জলবায়ু-বান্ধব, নিরাপদ, সাশ্রয়ী মূল্যের এবং দক্ষ পরিবহণ ব্যবস্থা’।
নিং আরও বলেন, ‘প্রকল্পটি একটি অগ্রাধিকারমূলক বিনিয়োগ এবং এটি বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও পর্যটনের প্রসারের মাধ্যমে কক্সবাজার অঞ্চলের অব্যবহৃত এলাকাগুলোকে কাজে লাগানোর সুযোগ করে দিবে।’ ‘প্রকল্পটি এমন বৈশিষ্ট্যগুলোকেও একীভূত করে যা বয়স্ক, নারী, শিশু এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ’।
এডিবি ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ করেছে।
নতুন রেল সংযোগ ২০২৩ সালে উদ্বোধনের আশা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের মধ্যে বার্ষিক ২৯ লাখ যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্য রয়েছে।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং রেলওয়ে মাস্টার প্ল্যানের আওতায় বাংলাদেশকে তার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করার জন্য এই রেলওয়ে সেকশনটির নির্মাণ বেশ কয়েকটি এডিবি রেলওয়ে প্রকল্পের মধ্যে একটি।
এডিবি পূর্বাভাস দিয়েছে চীন, ভারত ২০২৩ সালে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি পাবে
এডিবির মতে, জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি উদ্যোগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলওয়ে ট্রান্স-এশিয়া রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ। যার লক্ষ্য এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন রেল সংযোগ প্রদান করা, যাতে মানুষ এবং বাজারকে আরও ভালোভাবে সংযুক্ত করা যায়।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি