অনলাইন ডেস্ক :
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। আগামী ২১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পর্দা উঠবে। ছয় দলের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই আসর নতুন করে শুরু হচ্ছে। নতুন দল, নতুন করে আবার দল গোছানো। সামর্থ্য ও শক্তিতে কে এগিয়ে? কোথায় দলগুলোর দুর্বলতা? তা নিয়ে এই প্রতিবেদন। আজ পড়ুন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের গল্প। তারকাদের পেছনে না ছুটে বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের শুরু থেকেই নজর ছিল তরুণ ক্রিকেটারদের দিকে। তাই তো সরাসরি সাইনে চট্টগ্রাম দলে নেয় তরুণ নাসুম আহমেদকে। বিপিএলে গত বছর চট্টগ্রামকে দারুণ সাফল্য এনে দেন তিনি। বিপিএলের পারফরম্যান্সের সুবাদে নাসুমের জায়গা হয় জাতীয় দলে। এজন্যই তার ওপর অনেক আস্থা রেখেছে বন্দরনগরীর দলটি। মাঠের বাইরে নিজেদের প্রচারের কাজে বেশ এগিয়ে চট্টগ্রাম। কিন্তু দল গঠনে তারকা খ্যাতির দিকে ছোটেনি তারা। প্লেয়ার্স ড্রাফটে তরুণদের দিকেই ঝুকেছে। জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের তিন ক্রিকেটার শরিফুল, আফিফ ও শামীমকে নিয়েছে তারা। এ ছাড়া আছেন মিরাজ, আকবর, সাব্বির ও অভিজ্ঞ নাঈম। ‘ছক্কা নাঈম’ হিসেবে পরিচিত নাঈম তিন মৌসুম পর বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। সাব্বির ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অনেক দূরে। যুব বিশ্বকাপজয়ী আকবর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য মানানসই কি না তা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন আছে। নেতৃত্বের ঘাটতি আছে এই দলে। বিদেশি কেউ অধিনায়ক না হলে তরুণদের ওপর আস্থা রাখতে হবে। বিগ হিটার কিংবা একাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারে এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা খুব বেশি নেই চট্টগ্রামে। তবে দলগত শক্তিতে তারা পিছিয়ে নেই। বিদেশি সংগ্রহেও পিছিয়ে তারা। সরাসরি চুক্তিতে বেনি হাওয়েল, কেনার লুইস ও উইল জ্যাকসকে নিয়েছে। কেনার লুইসের আদুরে নাম ‘পরবর্তী গেইল’। ডানহাতি ব্যাটসম্যান শুরুর দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পারদর্শী। সঙ্গে আছেন চ্যাডরিক ওয়ালটন ও জ্যাকস। এ দুজনই দ্রুত রান তুলতে পারদর্শী। তাই ব্যাটিংয়ে তাদের ভরসা বিদেশিরাই। স্পিনে নাসুম ও মিরাজই তাদের অস্ত্র। আর পেস বোলিংয়ে ভরসা শরিফুল, মৃতুঞ্জয়, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। মৃত্যুঞ্জয় ও মুগ্ধ ঘরোয়া ক্রিকেটের পরীক্ষিত পেসার। নিয়মিত খেলছেন ও পারফর্ম করছেন। তবে বড় মঞ্চে এখনো দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। তাই তো তাদের দিকে বাড়তি নজরই থাকবে সবার। শক্তিমত্তায় চট্টগ্রাম পিছিয়ে নেই। তবে অন্য দলগুলোর তুলনায় তারা ফেভারিট নয়। ছোট দলের বড় আশা- বিপিএলে তারা চমকেই দেবে। দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে. এম. রিফাতুজ্জামান বলেছেন, ‘আমরা চাই বিপিএলের শিরোপা জিততে। জিততে চাই তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়েই। তারাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাদেরকে বড় প্ল্যাটফর্মে মুক্ত করে দিতে চাই। তারা নিজেদের মতো করে পারফর্ম করুক। এতে বাংলাদেশের ক্রিকেট উপকৃত হবে।’
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স স্কোয়াড-
সরাসরি চুক্তি: নাসুম আহমেদ, বেনি হাওয়েল (ইংল্যান্ড), কেনার লুইস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), উইল জ্যাকস (ইংল্যান্ড)।
ড্রাফট থেকে দেশি: শরিফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, রেজাউর রহমান রাজা, সাব্বির রহমান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, মেহেদী হাসান মিরাজ, আকবর আলী ও নাঈম ইসলাম।
ড্রাফট থেকে বিদেশি: চ্যাডউইক ওয়ালটন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রায়াদ এমরিট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা