প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের (৪আইআর) উপকরণগুলো মানবতাকে আঘাত বা অবমূল্যায়ন করার জন্য ব্যবহার করা হবে না, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে ৪আইআর উপকরণগুলো আমাদের মানবতাকে আঘাত বা অবমূল্যায়ন করার জন্য ব্যবহার করা হবে না।’
বৃহস্পতিবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের নিজ কার্যালয়ে ‘নিউ ইকোনোমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শিরোনামে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী সাইবার-আক্রমণ, বিভ্রান্তি এবং অন্যান্য অপকর্মের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্মিলিতভাবে সাইবার-আক্রমণ, বিভ্রান্তি এবং অন্যান্য অপকর্মের বিরুদ্ধে সুরক্ষা রাখতে হবে।’
৪আইআর যাতে সমাজের মধ্যে আরও বিভাজন তৈরি না করে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে ৪আইআর আমাদের সমাজের মধ্যে আরও বিভাজন তৈরি করে না। এই উদ্দেশ্যে আমাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার দেশের তরুণদের ৪আইআর এবং কাজের ভবিষ্যত তৈরি করতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন,‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা শুধু ৪আইআর প্রবণতা অনুসরণ করবে না, বরং তাদের নেতৃত্ব দেবে।’
তিনি বলেছিলেন যে দেশের শিক্ষার্থীরা রোবোটিক্সে যে ধরণের উদ্ভাবনী কাজ করছে তা দেখে তিনি উৎসাহিত বোধ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাদেশে যে উদ্ভাবন মেলার আয়োজন করছি, সেখানেও তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই ডব্লিউিইএফ’র সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ৪আইআর কেন্দ্রকে স্বাগত জানাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে সরকার ইতোমধ্যেই দেশে ৪আইআর’র জন্য সঠিক ধরণের আইনি, নীতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর জন্য কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ন্যানো প্রযুক্তিতে পৃথক জাতীয় কৌশল তৈরি করেছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি এবং অন্যান্য বিষয়ে বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট স্থাপন করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘স্মার্ট গভর্নেন্সের জন্য ভবিষ্যতের রাজনৈতিক নেতাদের বিকাশের জন্য আমরা স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমিও চালু করেছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তাই একটি গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট তৈরিতে জাতিসংঘের কাজে গভীর আগ্রহ নিচ্ছে।
‘আমরা আশা করি যে এই গ্লোবাল কমপ্যাক্টে ডিজিটাল এবং সীমান্ত প্রযুক্তির দায়িত্বশীল এবং উৎপাদনশীল ব্যবহারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য স্পষ্ট নির্দেশিকা থাকবে।’
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
দিনাজপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২