চাঁদপুরে টিকার মজুদের চেয়ে নিবন্ধন বেশি হওয়ায় পুরো জেলাতেই টিকা সংকট দেখা দিয়েছে। যোগাযোগ করলে, এমনটাই জানালেন বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরে প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার থেকে হঠাৎ করেই জেলা সদর হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে করোনা টিকার ১ম ও ২য় ডোজ দেয়া বন্ধ রেখেছে চাঁদপুর সিভিল সাজর্ন অফিস।
ফলে চাঁদপুর সদরের দূর-দূরান্ত থেকে আগত অসংখ্য নারী সদর হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যান। এখানে দু’টি টিকা কেন্দ্রে টিকা দেয়া হয় সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
এসময় লক্ষ্য করে দেখা যায়, হাসপাতালের গেইটে সাঁটানো হয়েছে ‘সাময়িকভাবে টিকা প্রদান বন্ধ’।
সদরের লক্ষীপুর এলাকা থেকে সত্তোরর্ধ বৃদ্বা আফিয়া খাতুন (৭১) এসেছিলেন করোনা টিকা নিতে, কিন্তু নিরাশ হয়ে ফিরে গেলেন। তার মতো নগরীরর বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষ টিকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ মনে ফিরে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কচুয়া, ফরিদগঞ্জ, হাজিগঞ্জ, মতলব দক্ষিণ ও মতলব উত্তরেও টিকার মজুদ শেষ হওয়ায় এসব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নিবন্ধন করা লোকদেরকে টিকা দেয়া বন্ধ রয়েছে। ফলে ফিরে টিকা না পেয়েই ফিরে যেতে হয়েছে নিবন্ধিত মানুষকে।
তবে, ফরিদগঞ্জে গত রবিবার থেকেই টিকা দেয়া বন্ধ। হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের ডা. বেলায়েত হোসেন জানান, তাদের টিকার মজুদও শেষের দিকে। শাহরাস্তিতেও একই অবস্থা।
একজন দায়িত্বশীল ডাক্তার ইউএনবি কে জানান, টিকা সংকটের কারণে আসলে পুরো জেলাতেই টিকা কাযর্ক্রম বন্ধ রয়েছে। অবশ্য এটা সাময়িক।
সিভিল সাজর্ন ডা. এম সাখাওয়াতউল্লাহ ইউএনবি কে জানান, আসলে টিকার মজুদ শেষ, তাই সাময়িকভাবে টিকা (১ম ও ২য় ডোজ) প্রদান বন্ধ রয়েছে। আশাকরি আগামী কয়েকদিনের (শনিবারের) মধ্যেই টিকা আসবে। তখন টিকার ১ম ডোজ ও ২য় ডোজ প্রদান আবার শুরু হবে।
তিনি বলেন, টিকা নেয়ার ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। টিকার মজুদের চেয়ে টিকার নিবন্ধন হয়েছে বেশি, তাই এ ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি