গত কয়েকদিন (৫/৬) চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাটে ইলিশের সরবরাহ অনেক বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার মণ ইলিশ দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলো থেকে এ ঘাটে মাছটি আসছে।
ট্রলার, ট্রাক ও পিকআপে এসব মাছ এখানে আসতে থাকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত।
সরবরাহ বেশি হওয়ায় মাছ ঘাট আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে। ঘাটের প্রায় ৪ থেকে ৫ শত দিনমজুর ব্যস্ত সময় পার করছে। এমনটাই জানিয়েছেন নুর ইসলাম, হান্নান, আনিসসহ আরও কয়েকজন। পাশাপাশি বরফ কলগুলোও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ মাছই ৭০০, ৮০০ ও ৯০০ গ্রাম ওজনের।
এখান থেকে মাছগুলো প্যাকেট হয়ে আবার বিভিন্ন স্থানে- ঢাকার কাওরানবাজার, আজমপুর, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা; গাজীপুরের টঙ্গী; টাঙ্গাইল; কিশোরগঞ্জ; জামালপুর; ময়মনসিংহ; শ্রীমঙ্গল; সিলেটের বাজারগুলোতে সরবরাহ করা হয়ে থাকে ট্রাকে। এখন আর রেলে এসব মাছ পাঠানো হয় না।
প্রতি কেজি ইলিশ ১৫০০ পাইকারি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ মাছ আবার শহরের বাজারে খুচরা ১ হাজারর ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ওদিকে পদ্মার ইলিশ এখনো কম ধরা পড়ছে। ভরা মৌসুমেও প্রতিদিন প্রায় ৪০ মণও পাওয়া যায় না বলে উল্লেখ করেন জেলে ও বিক্রেতারা।
পদ্মার ইলিশের দাম একটু বেশি। কারণ, এর স্বাদ আলাদা।
শহরের পাল বাজার, পুরানবাজার, নতুন বাজার, বিপনীবাগ, ওয়ারলেস বাজার, বাবুরহাটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটাই চোখে পড়েছে। এসব বাজার এখন ইলিশে সয়লাব। কিন্তু, দাম চড়া। কেজিতে ৩টি ইলিশ হলে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। ৫০০, ৬০০ ও ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার বা ১ হাজার ১০০ টাকায়। এদিকে, ৯০০ গ্রামের ইলিশ কেজিপ্রতি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ টাকায়।
বিপনীবাগ বাজার ও পাল বাজারের মাছ বিক্রেতাদের মধ্যে ইউনুছ, দেলোয়ার, জাকির, মো. হোসেন হাওলাদার, বাবু মিয়া জানান, তারা বেশি দামে কিনে অল্প লাভে এসব ইলিশ বিক্রি করছেন।
অনেক দিনমজুররা ছোট ইলিশ মাছও কিনতে পারছেন না। তারা বলেছেন, বাজারে এসে হতাশ হয়ে তারা ফিরে যাচ্ছেন, কারণ দাম এখনো নাগালের বাইরে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি