জেলা প্রতিনিধি:
চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ড মির্জাপুর এলাকায় ৫৪ নম্বর ব্রিজটির স্লিপার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত স্লিপার পরিবর্তন করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও দ্রুত স্লিপারগুলো পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন। চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের এ ব্রিজটি এই রুটে সবচেয়ে বড় ব্রিজ। ব্রিজটি স্থানীয়দের কাছে বড়পোল নামে পরিচিত। প্রায় ৫০ মিটার লম্বা এ ব্রিজে ১০০টি স্লিপার রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১৫টির বেশি স্লিপার এরইমধ্যে নষ্ট হয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যদিও পাঁচ বছর আগে স্লিপারগুলো পরিবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই স্লিপারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি, রেললাইন চেকারদের বারবার বলা হলেও তারা বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। আশপাশে কোনো যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় ব্রিজের অপর প্রান্তে থাকা গ্রামবাসীদের এ ব্রিজ ব্যবহার করেই যাতায়াত করতে হয়। এতে শিশু, অসুস্থ ও বৃদ্ধদের চলাচলের সুবিধার্থে ব্রিজের মাঝখানে ছোট ছোট কাঠের পাটাতন দেওয়া হলেও রেল কর্তৃপক্ষ সেগুলো সরিয়ে দিচ্ছে। ভাঙা স্লিপারের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের, পারাপারে ভোগান্তি পোহাতে হয় অসুস্থ কিংবা বৃদ্ধ ব্যক্তিদের। ব্রিজের অপর প্রান্তে থাকা প্রায় তিন হাজার পরিবারের এ ব্রিজ দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। ক্ষতিগ্রস্ত স্লিপারগুলোর দ্রুত সংস্কার ও ব্রিজের ওপরে যাতায়াতের সুবিধার্থে দেওয়া পাটাতন অপসারণ না করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ বিষয়ে লাকসাম রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার জানান, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কর্মকর্তাদের দ্রুত এ ব্রিজের ক্ষতিগ্রস্ত স্লিপার পরিবর্তনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে স্লিপারগুলো পরিবর্তন করা হবে। স্থানীয় মানুষদের সুবিধা বিবেচনা করে কাঠের পাটাতনগুলো তুলে না নিতে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হবে। আশা করি, মানুষের ভোগান্তি হবে না।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি